পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Yaas) পরিণত হবে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। বুধবার সন্ধেয় সেই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূলের পারাদ্বীপ এবং বাংলা উপকূলের সাগরের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ৬ মিটার অর্থাৎ ২০ ফুট পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামিকাল, সোমবার থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ, রবিবার বিকেলের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দোসর হবে ঝোড়ো হাওয়া। এদিকে, সুন্দরবন, সাগরদ্বীপ, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা, দিঘা-শঙ্করপুরে মাইকিং করে প্রচার চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ। কাকদ্বীপে নদীবক্ষে নৌকায় করে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দা নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। দিঘা-শঙ্করপুর উপকূলে মৎস্যজীবীদের আগামিকাল, সোমবার থেকে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মৌমস ভবন সূত্রে খবর, ২৬ মে সন্ধে নাগাদ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকা-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, নদীয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূমেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌসেনা। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি ডাইভিং টিম-সহ ৮টি উদ্ধারকারী দলকে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে প্রস্তুত নৌসেনার ৪টি জাহাজ। দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত নৌসেনার ৪টি বিমান।