সোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে 'ইয়াস এফেক্ট'। কালো মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। দীঘা উপকূলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ।
বৈঠকে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। অন্য দিকে তেমনই মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌড়া।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যায় ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চু্য়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপ-রাজ্যপালও। সেখানে মূলত এই ঝড় মোকাবিলা নিয়ে বিশদে পর্যালোচনা করেন অমিত শাহ। রাজ্যের তরফে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাকালে রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা তুঙ্গে। এছাড়াও চলছে নমুনা পরীক্ষার কাজ। তাই বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন থাকে সেই ব্যবস্থার দিকে ৩ রাজ্যকে জোর দিতে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন সরবরাহে যাতে অভাব না ঘটে সেই বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেন তিনি। সবরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে।
এদিকে, পূর্ব নির্ধারিত কাজ থাকায় আজকের বৈঠকে প্রথমে ঠিক হয়ছিল থাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পরে সিদ্ধান্ত বদলে উপস্থিত থাকেন মমতা ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন