সেই মে মাস, আর সেই লকডাউন। এই আবহে ফের আম্ফানের স্মৃতি উসকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপ্সাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যা ধীরে ধীরে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্প শুষে পরিণত হতে পারে সাইক্লোনে। প্রাথমিক ভাবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর অভিমুখ বদলে ঢুকতে পারে বাংলাদেশ।
গত বছর ১৯ মে-র সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডব দেখেছিল বঙ্গবাসী। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যশের প্রভাব তার থেকেও বেশি হবে। এদিকে, এখনই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। আগামি দু’দিন থাকবে অস্বস্তিকর গরম। পারদ ঘোরাফেরা করতে পারে ৪০-এ। তবে শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৩-২৫ তারিখের মধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে যশ।
উত্তরবঙ্গে অবশ্য আগামি দু’দিনে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাতের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে হাওয়ায় অফিস। এদিকে, প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। মঙ্গলবারও গরমের দাপট বজায় থাকবে। পর পর পাঁচ দিন ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ল রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
আজ শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৭ শতাংশ।
তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা প্রভৃতি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ -সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।