প্রবল বেগে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! ক্যানিং থেকে আর মাত্র ৮১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে রবিবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' বাংলাদেশ ও সংলগ্ন বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়বে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রেমালের এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আইএমডি জানাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে (রবিবার) অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশী বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। শনিবারই বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার আটটি আসনে ভোট হবে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ভোটগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ২৬-২৭ মে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ মে (শনিবার) গভীর নিম্নচাপে এবং ২৬ মে একটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
IMD কলকাতা, হাওড়া, নদীয়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। প্রাথমিকভাবে আবহাওয়াবিদদের ধারণা এই ঝড়টি বাংলাদেশে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে দেখা গেলেও যে কোনো সময় এটি তার অভিমূল বদল করতে পারে।
কিছু আবহাওয়া বিশেষজ্ঞও মনে করছেন এই ঝড়টিও ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান'-এর মতো একই পথে অগ্রসর হতে পারে এবং কলকাতায় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে । ২০২০ সালে, ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান' দিঘার কাছে দুপুর আড়াইটেয় আছড়ে পড়ে। ল্যান্ডফলের সময়, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১৯০ কিলোমিটার ।