রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে মমতা সরকার। এরপরই আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় এ দিন দুপুরে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশ বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থকে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছে। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হবে না? ৪ঠা নভেম্বরের মধ্যে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে হাইকোর্টে জানাতে হবে।
চলতি বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ১৯ অগাস্ট (তিন মাসের মধ্যে) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। ১৯ অগস্ট সেই সময়সীমা পার হয়েছে। এরপরই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি সংগঠন সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থকে হলফনামা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- DA মামলায় হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের, ঐতিহাসিক রায়দান আদালতের
এদিকে তিন মাসের সময়ীমা শেষের আগেই রাজ্য সরকার ডিএ মামালার নির্দেশরায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। এদিন সকালে রাজ্যের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।
জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ মামলায় ধাক্কা খাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে নবান্ন। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আর্জির আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন।