মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ চ্যান্ডন এবং বিচারপতি শেখরবন্ধু সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিএ সরকারের দয়ার দান, অতীতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) এ কথাই বলেছিল রাজ্যের প্রতিনিধি। কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর ৩১ অগস্টের রায়ে জানিয়েছিল, ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। এ বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে স্যাটকে রায় দেওয়ার নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সে দিনের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই আবেদনই এদিন খারিজ হয়ে গেল এবং পূর্বের রায়ই বহাল থাকল। ১৩ মার্চ এই মামলায় রায় দেবে স্যাট।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে রাজ্যের সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতার বিরাট ফারাক উল্লেখ করে বর্ধিত ডিএ-র দাবিতে সরব হয়ে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মীরা। স্যাটে রাজ্যের প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, ডিএ নিয়ে কর্মীরা কোনও দাবি জানাতে পারে না। কারণ, মহার্ঘ ভাতা সরকারের দয়ার দান। এরপর স্যাটের রায়ে অসন্তুষ্ট কর্মীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ভিনরাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারারে কর্মীরাও এ রাজ্যে কর্মরতদের থেকে বেশি ডিএ পেয়ে থাকেন বলে হাইকোর্টে জানান আবেদনকারীরা। এমন দৃষ্টিভঙ্গি বৈষম্যমূলক বলেও উল্লেখ করা হয়। এরপরই ২০১৮ সালের ৩১ অগস্টের রায়ে মহার্ঘ ভাতাকে সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার হিসাবে উল্লেখ করে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখরবন্ধু সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই মামলাটি দু'মাসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়, ‘‘এই নির্দেশ দেওয়ার অধিকার হাইকোর্টের নেই’’।