সুপ্রিম কোর্টে পিছল এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানি থেকে বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সরে দাঁড়ানোতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হল। বিচারপতিদের নতুন বেঞ্চ তৈরির পর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হয় বিচারপতি মাহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই শুনানিতে আদালত অন্তবর্তী নির্দের্শের সঙ্গেই জানিয়েছিল যে, ১৪ ডিসেম্বর (আজ) মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য হয়েছে। যদিও গতকাল সুপ্রিম কোর্টের তরফে নোটিসে জানানো হয়, বিচারপতি মাহেশ্বরী না থাকার কারণে ডিএ মামলার শুনানিতে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়েরর সঙ্গে বেঞ্চে থাকবেন সদ্য সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
এদিন শুনানির শুরুতেই মামলা শুনতে রাজি হননি দুই বাঙালি বিচারপতি। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় জানান, আমরা এই মামলায় নতুন বেঞ্চ তৈরি হবে। তার পর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মামলার শুনানি হবে। কেন এই পদক্ষেপ? রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও মীনাক্ষী অরোরা কারণ জানতে চান।
তখনই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, 'আমি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কিছু মন্তব্য শুনেছি। তাঁরা বলছেন, আমি আসায় তাঁদের সুবিধা হয়ে যাবে। অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক নয়। তাই আমি মামলা শুনব না।'
বকেয়া ডিএ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিবঙ্গ সরকারের কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্টের পর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। নবান্নের দাবি, বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যকে বিরাট আর্থিক বোঝা টানতে হবে। যা কার্যত অসম্ভব। তাই বিষয়টি বিবেচনা করার আর্জি জানাো হয়। মামলাকারীদের দাবি, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সব রাজ্যে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রাজ্য-সহ সকল পক্ষের হলফনামা তলব করে সুপ্রিম কোর্ট।