Advertisment

ডিএ আন্দোলনকারীদের বড় সিদ্ধান্ত, লড়াই এবার কোন পথে?

বকেয়া ডি-এর দাবিতে আন্দোলনের কী ভবিষ্যৎ?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
DA

ডাবের জল পান করে অনশন ভাঙছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ছবি- শশী ঘোষ

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে ধরনায় বসেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। বিগত ৪৪ দিন ধরে চলছিল অনশন। কিন্তু শনিবার অচমকা অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারীরা। অনশনকারীদের অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন যোথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তবে অনশন প্রত্যাহার হলেও দাবি পূরণে ধরনা আন্দোলন চলবে মঞ্চের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisment

কেন অনশন প্রত্যাহার? জবাবে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঙোষ বলেন, 'দীর্ঘ অনশন আন্দোলনে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। কারও কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিস, কেউ কেউ গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত ডিএ-র দাবিতে অনশন স্থগিত রাখা হল।'

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অনশন শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ডিএ নির্দেশ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। আগামী এপ্রিলে ফের রয়েছে এই মামলার শুনানি। আপাতত আন্দোলনের পাশাপাশি এই আইনি নির্দেশের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন- ‘দলের স্বার্থে দুর্নীতি করেছেন বাবাও’, বাম আমলের নিয়োগ ‘কেচ্ছা ফাঁস’ উদয়নের

এসবের মধ্যেই বাজেট বক্তৃতা পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। এতে অবশ্য খুশি নয় আন্দোলনকারীরা।মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন যে, রাজকোষের বিবেচনায় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া অসম্ভব।

এদিকে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটে যোগ দেওয়া সরকারি কর্মীদের শো-কজ করে অনুপস্থিতির কারণ জানাতে বলেছে রাজ্য প্রশাসন। তবে এতে দমে না গিয়ে আগামী ৩০ তারিখ থেকে মহা ঈন্দোলনের ঘোষণার পথে আন্দোলনকারীরা।

Employee West Bengal Hunger Strike
Advertisment