কালিয়াগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গত এপ্রিলে তোলপাড় হয় রাজ্য। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সদস্য বিশিষ্ট সিট-এর সদস্য আইপিএস দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ও রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি পঙ্কজ দত্ত। সেই দায়িত্ব থেকেই শুক্রবার দুঁদে পুলিশ কর্তা দময়ন্তী সেনকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সিট এত দিন কোনও কাজ করতে পারেনি বলে এদিন আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্ত। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের তদন্তে আইপিএস দময়ন্তী সেন কোনও সহযোগিতা করেননি। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশও অসহযোগিতা করেছে। এছাড়া কালিয়াগঞ্জ গিয়ে তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন ছিল তাও করা হয়নি। সিট-কে এভাবে অসহযোগিতার থেকে কালিআগঞ্জ কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত।
দুই সিট সদস্যের মুখে অভিযোগ শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। ভৎর্সনা করা হয় রাজ্য সরকারের ভূমিকার। এরপরও যদি কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে কিনা জিজ্ঞাসা করেন বিচাপতি মান্থা। একই সঙ্গে দময়ন্তী সেনকে সিট থেকে সরানো হয়। তাঁর জায়গায় কাকে সিটের সদস্য করা যায় তা স্বরাষ্ট্রসচিবকে সুপারিশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার-২ থেকে দময়ন্তী সেনকে দিন দু'য়ের আগেই পুলিশ ট্রেনিংয়ের আইজি পদে বদলি করেছে রাজ্য সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। এখন দেখার কী রিপোর্ট দেন স্বরাষ্ট্রসচিব। কী নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।
আরও পড়ুন- অভিষেককে প্যাঁচে ফেলতে ‘মাস্টারপ্ল্যান’, পুলিশ বেঁকে বসতেই কোর্টে বিরোধী দলনেতা