তীর্থক্ষেত্রে বাউন্সার দিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলছে অশ্লীল নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের হতে হয় সর্বশান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশানের কাছে। মন্দির কমিটিও বার বন্ধের দাবি জানায়। এরপরই ওইসব ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে পুলিশ প্রশাসন।
সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ এখন রাজ্য ছড়িয়ে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই তীর্থক্ষেত্র আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অগনিত ডান্স বার। সেখানেঅ চলছে স্বল্প পোশাকের তরুণীদের নাচ। প্রায় দিন এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়। মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ হয়েছে।
সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, 'বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে সবকে বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।'
আরও পড়ুন- মমতার মুখে সিপিএম! অথচ ব্রাত্য কংগ্রেস, মোদী সরকারকে আদৌ উৎখাতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী?
এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।' বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়ের আশ্বাস, 'অভিযোগ পেয়েছি। কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।'