Advertisment

আবার তালা ঝুলল দাড়িভিট হাই স্কুলে, দাবী সেই সিবিআই তদন্তের

সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট হাই স্কুলে বিক্ষোভের জেরে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিশর গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দুজনের। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তা অস্বীকার করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তালাবন্ধ দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন গেট

শনিবারও উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলে রইল। দিনভর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দাঁড়িয়ে রইলেন স্কুলের মাঠের পশ্চিম প্রান্তে। স্কুলে এসে বাড়ি ফিরে গেল ছাত্রছাত্রীরা।  কারণ সেপ্টেম্বর মাসে স্কুলে গন্ডগোলের সময় গুলিতে নিহত তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের পরিবার স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহত দুই যুবকের পরিবারের বক্তব্য, যতদিন না তাঁদের পরিবারের ছেলেদের মৃত্যু রহস্যের সিবিআই তদন্ত হচ্ছে, ততদিন তাঁরা এভাবেই স্কুল তালাবন্ধ রাখবেন।

Advertisment

সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট হাই স্কুলে বিক্ষোভের জেরে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিশর গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দুজনের। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তা অস্বীকার করে। দুই নিহতের পরিবার দাবি তোলেন সিবিআই তদন্তের। কিন্তু রাজ্য় সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। যা মানেননি ওই দুই পরিবারের কেউই। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় যাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয় নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এই ঘটনাক্রমের প্রতিবাদে দুই যুবকের পরিবারবর্গ অক্টোবরে স্কুলে তালা দিলেও প্রশাসনের অাবেদনে সাড়া দিয়ে নভেম্বর মাসে তালা খুলে দিয়েছিলেন। সে সময় সিবিঅাই তদন্ত, গ্রেপ্তার গ্রামবাসীদের নিঃশর্ত মুক্তি-সহ বেশ কিছু দাবি রেখেছিলেন তাঁরা প্রশাসনের কাছে। ১০ নভেম্বর স্কুল খুলেছিল। তারপর এবার ফের বন্ধ হলো।

আরও পড়ুন: দাড়িভিট কান্ডের জেরে সাসপেন্ড হাই স্কুলের দুই শিক্ষক

শুক্রবার স্কুল শুরুর সময় স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন নিহত দুই ছাত্রের পরিবার, যদিও স্কুলের শিক্ষকদের অনুরোধে ফের স্কুল খুলতেও দেন। কিন্তু স্কুলের কাজকর্মের পর আবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যথারীতি স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের সামনের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। শনিবারও স্কুলের গেটের তালা খোলেননি ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের কথা রাখেনি প্রশাসন।

তাপস বর্মণের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, "আমাদের কোনো দাবি প্রশাসন পূরণ করেনি। আমাদের কথা দিয়েছিল সেই সব দাবী পূরণ করবে। তাই আমরা স্কুল খুলতে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম দাবি পূরণ না হলে স্কুল বন্ধ করে দেবো। আমরা প্রশাসনকে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি, স্কুল বন্ধ না করলে সঠিক বিচার মিলবে না। যতদিন বিচার না পাবো, ততদিন আমরা স্কুল খুলতে দেব না। এভাবেই তালা মেরে গেটের সামনে বসে থাকবো। সিবিআই তদন্ত চাই।"

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মন্ডল জানান, "শুক্রবার আমাদের যথারীতি কাজকর্ম করতে দেওয়া হয়েছিল। বিকেলের দিকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সারা দিন আমরা মাঠে দাঁড়িয়েছিলাম, স্কুলে ঢুকতে পারিনি। পুরো বিষয়টা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এখনও অনেক ছাত্রছাত্রীর ফরম ফিলাপ বাকি রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

west bengal politics CID cbi
Advertisment