বেড়াতে যাওয়ার আবার সময়-অসময় কি! বাঙালির তো পায়ের তলায় সর্ষে! সুযোগ পেলেই দিন কয়েকের জন্য ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালির হদিশ পাওয়াই দুষ্কর। এই বাংলাতেই এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে একবার গেলে আর ফিরতে যেন মনই চায় না। তেমনই একটি জায়গা হল দার্জিলিঙের ধোত্রে। সান্দাকফু যাওয়ার পথের এই ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ এককথায় অনবদ্য। এতল্লাটের ভুবন ভোলানো সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ কঠিন। দিন কয়েকের জন্য বেড়ানোর আদর্শ এক ঠিকানা হল পাহাড়ঘেরা এই গ্রাম।
উত্তরবঙ্গের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে একবার গেলে মনে হয় ছুটে যাই বারবার। তেমনই একটি জায়গা হল দার্জিলিঙের সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে পাহাড় কোলে ঘুমিয়ে থাকা ধোত্রে গ্রাম। এতল্লাটের বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামই অনবদ্য। তবে ধোত্রের সৌন্দর্য্য অসাধারণ। কী নেই এখানে! স্নিগ্ধ-শীতল পরিবেশে দিন কয়েকের ছুটির জন্য একশোয় একশো পাবে এই স্থান।
আরও পড়ুন- পাহাড়ঘেরা গ্রামের বুক চিরেছে নদী, উত্তরবঙ্গের এতল্লাট এককথায় অসাধারণ!
চোখ মেললেই সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা আর নাম না জানা পাহাড়ি পাখির দলের কিচিরমিচির উত্তরবঙ্গের এই প্রান্তকে যেন আরও মোহময়ী করে তুলেছে। পাহাড়ি ফুল, পাইনের সারিতে সাজানো ধোত্রে ক্যালেন্ডারের বাঁধানো ছবির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। নির্জন-নিরিবিলি এই পাহাড়ি জনপদে মাত্র কয়েকটি পরিবারের বাস। মেরেকেটে পঞ্চাশ তেকে ষাটটি পরিবার নিয়েই এই ধোত্রে গ্রাম।
আরও পড়ুন- নির্জন সমুদ্রে লাল কাঁকড়ার সমাহার, এতল্লাট কলকাতার খুব কাছেই
কীভাবে যাবেন ধোত্রে গ্রামে?
কলকাতার দিক থেকে গেলে হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপিতে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে নিয়ে ধোত্রে গ্রামে পৌঁছে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন- বেড়ানোর তুফানি মজা এখানেই! কান পাতলেই শোনা যায় জল-জঙ্গলের ফিসফিসানি!
ধোত্রে গ্রামে থাকার বন্দোবস্ত কী?
ছোট্ট এই গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দারাই খুলেছেন হোম স্টে পরিষেবা। আগে থেকে বুক করে যেতে পারেন। দিন পিছু জনপ্রতি থাকা-খাওয়া মিলিয়ে এক হাজার থেকে বারোশো টাকার আশেপাশে খরচ পড়তে পারে।