পাহাড়ে হিংসার ঘটনায় অবশেষে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তৎকালীন প্রধান বিমল গুরুঙের। ৮ জুন দার্জিলিঙে হিংসার ঘটনায় সোমবার সিআইডি-র পেশ করা চার্জশিটে গুরুং-সহ মোট ৭২ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, প্রমাণের অভাবে জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং-সহ ৭ জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের সংঘর্ষে অশান্তি ছড়ায়। যার জেরে প্রায় ১০৪ দিন ধরে অচলাবস্থা চলে দার্জিলিঙে।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমল গুরুং ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী আশা, রোশন গিরির। পাশাপাশি চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও ৪৫ জনের, যাঁরা এখনও পলাতক। অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭(খুনের চেষ্টা), ১২০ বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬(অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন)-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বিনয় তামাং, মণদীপ শর্মা, আমোদ মুখিয়া, জ্যোতি কুমার রাই, জন রাইদের রেহাই দেওয়া হয়েছে এ মামলা থেকে।
আরও পড়ুন, লস্কর জঙ্গি শেখ সমীরের ফাঁসির সাজা
৮ জুন পুলিশের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। বহু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেসময়ই ভানু ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। তারপর থেকেই কার্যত গা ঢাকা দেন বিমল গুরুংরা। এরপরই গুরুঙের বাড়ি ‘অ্যাটাচ’ করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২ অগাস্ট বিমলের বাড়ি ‘অ্যাটাচ’ করা হয়। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে প্রকাশ গুরুঙেরও সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করা হয়।
এর আগে সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের হত্যার ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। গুলির লড়াইয়ে পাহাড়ে নিহত হন ওই পুলিশ কর্মী। এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে দার্জিলিং পুলিশ। গুরুং-সহ প্রায় ২০ জনের নামে এফআইআর করা হয়। ৪ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়।
Read the full story in English