Advertisment

ভোজ খেয়ে দেওয়া 'প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ' শাহ-র, 'রাজনীতির শিকার'- দাবি হতাশ বিভীষণের

মেয়ের কঠীন অসুখ। বাড়িতে অমিত শাহ আসতেই তাই সেকথা জানিয়েছিলেন। প্রতিশ্রতি মিলেছিল চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা ও দিল্লির এইমসে গিয়ে চিকিৎসার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
daughter is not taken to delhi aiims for treatment bibhishan hansda bankura angry

হাঁসদা পরিবার, গত বছর বিভীষণের বাড়ি মধ্যহ্নভোজ সারছেন অমিত শাহ।

১৯-শের লোকসভার ফলকে হাতিয়ার করে তখন বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া ব্রিগেড। বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ বাড়াতে সবে রাজ্যে আসতে শুরু করেছেন অমিত শাহ সহ পদ্ম শিবিরের তামাম হেভিওয়েটরা। বিজেপিকে আদিবাসীদরদী বোঝাতে এরই মাঝে গত বছরের ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার চতুর্ডিহি গ্রামের জনমজুর বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই ছিল পাত পেরে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। বিভীষণ ভেবেছিলেন এবার বোধহয় সব সমস্যার সমাধান। মেয়ের কঠীন অসুখের কথা জানিয়েছিলেন শাহকে। প্রতিশ্রতি মিলেছিল চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা ও দিল্লির এইমসে গিয়ে চিকিৎসার। আশ্বস মতো কয়েকবার মিলেছিল টাকা। কিন্তু, সময় এগোতেই সবই দফারফা। দিল্লি তো দূরঅস্ত- ক্রমেই বুঝছেন বিভীষণ।

Advertisment

ভোঠ মিটেছে, মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিও মিলিয়েছে। হতাশ জনমজুর বিভীষণ হাঁসদা। এখন তিনি বলছেন, 'ভেবেছিলাম বদল হবে, মেয়ের কঠীন রোগের চিকিৎসা হবে। কিছুই হচ্ছে না। যেকে সেই অবস্থা। আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে অন্যের জমিতে দিনমজুরি খেটে যা উপার্জন করি তা দিয়েই চলছে মেয়ের চিকিৎসার খরচ।'

ণধুমেয় রোগে আক্রান্ত বিভীষণের মেয়ে। রোজই লাগে চারটি করে ইনসুলিন। এছাড়া ওষুধ তো রয়েইছে। সবমিলিয়ে খরচ মাসিক পাঁচ হাজার টাকা। দিনমজুর পরিবারে যা প্রতিমাসে যোগান দেওয়াই যেন স্বপ্নের মতো। হিমশিম অবস্থা। তাও কোনও মতে মেয়ের মুখ চেয়ে চেষ্টা জারি রেখেছেন হাঁসদা দম্পতি।

পরতে পরতে অসহায়তা ফুটে উঠছে বিভীষণের স্ত্রী মণিকার কণ্ঠেও। তাঁর কথায়, 'কেউ কথা রাখল না। আমারা রাজনীতির শিকার হয়ে গেলাম।'

মেয়ের চিকিৎসা দিল্লিতে হল না, বিভীষণের এই অভিযোগের জবাবে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। তবে তাঁর দাবি, 'প্রতি মাসেই ১০ হাজার করে টাকা ওদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।'

১৯-শের লোকসভার ফলকে হাতিয়ার করে তখন বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া ব্রিগেড। বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ বাড়াতে সবে রাজ্যে আসতে শুরু করেছেন অমিত শাহ সহ পদ্ম শিবিরের তামাম হেভিওয়েটরা। বিজেপিকে আদিবাসীদরদী বোঝাতে এরই মাঝে গত বছরের ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার চতুর্ডিহি গ্রামের জনমজুর বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই ছিল পাত পেরে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। বিভীষণ ভেবেছিলেন এবার বোধহয় সব সমস্যার সমাধান। মেয়ের কঠীন অসুখের কথা জানিয়েছিলেন শাহকে। প্রতিশ্রতি মিলেছিল চিকিৎসার জন্য আর্তিখ সহায়তা ও দিল্লির এইমসে গিয়ে চিকিৎসার। আশ্বস মতো কয়েকবার মিলেছিল টাকা। কিন্তু, সময় এগোতেই সবই দফারফা। দিল্লিতো দূরঅস্ত- ক্রমেই বুঝছেন বিভীষণ।

ভোঠ মিটেছে, মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিও মিলিয়েছে। হতাশ জনমজুর বিভীষণ হাঁসদা। এখন তিনি বলছেন, 'ভেবেছিলাম বদল হবে, মেয়ের কঠীন রোগের চিকিৎসা হবে। কিছুই হচ্ছে না। যেকে সেই অবস্থা। আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে অন্যের জমিতে দিনমজুরি খেটে যা উপার্জন করি তা দিয়েই চলছে মেয়ের চিকিৎসার খরচ।'

ণধুমেয় রোগে আক্রান্ত বিভীষণের মেয়ে। রোজই লাগে চারটি করে ইনসুলিন। এছাড়া ওষুধ তো রয়েইছে। সবমিলিয়ে খরচ মাসিক পাঁচ হাজার টাকা। দিনমজুর পরিবারে যা প্রতিমাসে যোগান দেওয়াই যেন স্বপ্নের মতো। হিমশিম অবস্থা। তাও কোনও মতে মেয়ের মুখ চেয়ে চেষ্টা জারি রেখেছেন হাঁসদা দম্পতি।

পরতে পরতে অসহায়তা ফুটে উঠছে বিভীষণের স্ত্রী মণিকার কণ্ঠেও। তাঁর কথায়, 'কেউ কথা রাখল না। আমারা রাজনীতির শিকার হয়ে গেলাম।'

মেয়ের চিকিৎসা দিল্লিতে হল না, বিভীষণের এই অভিযোগের জবাবে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। তবে তাঁর দাবি, 'প্রতি মাসেই ১০ হাজার করে টাকা ওদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp amit shah West Bengal Bankura
Advertisment