অমরনাথের পথে প্রবল বৃষ্টির জেরে হড়পা বান, তারই বলি এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবারের প্রবল প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের জেরে বহু পুন্যার্থী আটকে পড়েছেন। আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরে ভিন রাজ্যের পুন্যার্থীদের পাশাপাপাশি বাংলা থেকে যাওয়া অনেক পর্যটকও সেখানে আটকে পড়েছেন।
অমরনাথে হড়পা বানের জেরে মৃত পুন্যার্থীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে এরাজ্য থেকে সেখানে গিয়ে আটকে পড়া পুন্যার্থীদের ফেরাতেও সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ''অমরনাথের বিপর্যয়ে আমি শোকস্তব্ধ ও হতবাক। মৃতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা রইল। যাঁরা আটকে পড়েছেন ও আহত হয়েছেন তাঁদেরও সহমর্মিতা জানাই। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (033- 22143526)। আমাদের দিল্লি আরসি অফিসও সক্রিয় করেছে। বাংলা থেকে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আটকে পড়া পুন্যার্থীদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে।''
আরও পড়ুন- মেঘভাঙা না, প্রবল বৃষ্টিতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথ, দাবি আবহাওয়া দফতরের
অমরনাথে শুক্রবারের হড়পা বানে মৃত্যু মিছিল। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল আচমকা নেমে আসা হড়পা বানের জেরে অমরনাথ মন্দিরের কাছে থাকা তাঁবু ও তীর্থযাত্রীদের অস্থায়ী রান্নাঘর জলের তোড়ে কাদা ও পাথরের সঙ্গেই ভেসে গিয়েছে। আকস্মিক এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে প্রথমে অনেকেই দাবি করেছিলেন, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হয়ে যাবতীয় বিপত্তি।
পরে আবহাওয়া দফতর নির্দিষ্ট কয়েকটি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অন্য কথা বলেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয়। স্থানীয় স্তরে ব্যাপক বৃষ্টির জেরেই হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে অমরনাথের একাংশ। পণ্ড হয়েছে এই তীর্থযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। প্রাণহানি ঘটেছে তীর্থযাত্রীদের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অমরনাথ গুহার মন্দিরের কাছেই পর্বতের শিখরে মেঘ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সেখান থেকে বৃষ্টি নেমেছে।’