পরিজনকে চাকরি দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন অভিযানে গিয়ে মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রীকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দিল সরকার। শুক্রবার তাঁর কোতুলপুরের বাড়িতে গিয়ে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। ছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। কাজের সুবিধার জন্য কোতুলপুর থানাতেই পোস্টিং দেওয়া হয়েছে আলিয়া মিদ্যাকে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে গিয়ে ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে বাম ছাক্র-যুব কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধের সময় অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় মইদুলকে। পুলিশের মারে জখম হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার সপ্তাহ ঘুরতেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল তাঁর স্ত্রীকে। পেশায় টোটোচালক মইদুলের মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর।
উল্লেখ্য, ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আমারও দুঃখ হয়েছে। চাইলে সরকারি চাকরি, আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে গরিব ছেলেটির পরিবারকে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’ গরিব পরিবারে মইদুলই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। দুই মেয়ে রয়েছে তাঁর। একজনের বয়স ১০ এবং ছোট মেয়ের পাঁচ। ছেলে মারা যাওয়ায় পরিবার কী ভাবে চলবে ভেবে কূল পাচ্ছিলেন না তাঁর মা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো দ্রুত নিয়োগের বন্দোবস্ত করে রাজ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন