ডিএলএড পরীক্ষায় প্রশ্ন কীভাবে ফাঁস হল? কারা এই ঘটনায় জড়িত? জানতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন। দ্রুত রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
২০২০-২২-এর ডিএলএডের পরীক্ষা ছিল সোমবার। পরীক্ষা শুরুর সোয়া একঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরীক্ষার শেষ হতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। প্রশ্ন ফাঁসের নেপথ্যে 'ষড়যন্ত্র'-এর ইঙ্গিত বলে দাবি করেন তিনি। গৌতম পাল বলেছিন, 'পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা হয়েছে। এই অভিযোগকে পর্ষদ হালকা ভাবে নিচ্ছে না। তদন্ত কমিটি তৈরি করছি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সেই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতেই এবার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- এবার মোদীর দুয়ারে একসঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি! শাসকের প্রস্তাবে সম্মতি বিরোধীদের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ডিএলএড কলেজগুলি থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ডিএলএড কলেজ সংক্রান্ত বেশ কিছু বেনিয়মের হদিশও সামনে এসেছে। তারপরও ডিএলএড পরীক্ষাপ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল।
ডিএলএড কোর্সের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে। দু’বছরের কোর্সে চারটি সেমেস্টার হয়। সোমবার এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অন্য সেন্টারে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল কড়া নিরাপত্তাও। তবু পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পোস্ট লক্ষ করা যায়।