ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এর জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই এবার আলোর দিশা দেখছে চন্দননগর। কলকাতা থেকে জেলা বড় বড় পুজোয় মণ্ডপের চারপাশে এবার আলোর খেলায় ফুটে উঠবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। গত বছরের থেকে বেশি বরাত মেলায় উৎসবের মরসুমে স্বস্তিতে চন্দননগরের আলো শিল্পীরা।
দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী। গতবার করোনার কোপে সবই হয়েছে নমো নমো করে। বন্ধ ছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী নিরঞ্জনের বিখ্যাত শোভাযাত্রা। ধসে পড়েছিল ব্যবসা। ফলে চন্দননগরের আলোর জাদুকররা ম্রিয়মাণ ছিলেন। এবার বাজার কিছুটা হলেও ফিরেছে। কলকাতা থেকে জেলা, বরাত মিলছে ভালই।
প্রতিবারই সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। চমকের শীর্ষে দুয়ারে সরকার, অলিম্পিকে নীরজ চোপড়ার ঐতিহাসিক জ্যাভলিন থ্রো। এলইডি-র কারসাজিতে প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পর্যায়ে।
চন্দননগরের যে সমস্ত আলোর কারিগররা আছেন তাদের মধ্যে বোরো চাঁপাতলার বাবু পালের নাম একেবারে প্রথম সারিতে। সেই বাবু পালের কর্মশালায় এখন রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলছে। ২২ জন শিল্পী দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন। এবারও লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের আলোক সজ্জার বরাত পেয়েছেন বাবু পাল। সেখানে দেখা যাবে দুয়ারে সরকার সহ বিভিন্ন পশুর মডেল। স্পেশাল চমক হিসেবে থাকছে এলইডি দিয়ে দমকলের বি্ভিন্ন মডেল। শুধু শ্রীভুমি নয় মুর্শিদাবাদের অন্যতম বড় পুজো বেলডাঙ্গা বারোয়ারিতেও যাচ্ছে চন্দননগরের আলো। পুজোর চারদিন পার্কস্ট্রিটও আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়। যার দায়িত্বেও এই সংস্থা।
বাবু পালের কর্মশালার সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিল্পী পলাশ পাত্র। তাঁর কথায়, 'বাজার এখনো চাঙ্গা একথা বলা যাবে না। তবে গতবারের তুলনায় ভালো। অন্তত কিছু শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন। হয়তো আগের মতো কাজের ব্যাপ্তি নেই তবে আমরা অপেক্ষায় আছি জগদ্ধাত্রী কার্নিভালের জন্য। প্রশাসন অনুমতি দিলে আবার আমরা আলোর ভেলকি দেখাবার উদ্যম পাবো। কাজেও গতি আসবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন