সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। বেআব্রু তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়া। সেই রেশ এখনও টাটকা। তার মধ্যেই বোমা ফাটিয়েছেন জোড়া-ফুলের আরেক তাপস। ইকো পার্কে রাজ্য প্রশাসন আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। ইকো পার্কে কোনও রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠান হলেই স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে কেন তিনি ব্রাত্য তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাপসবাবু। গোটাটা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অপমান বলে দেখতে নারাজ তিনি। উল্টে আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টিকে নিউটাউনবাসীর অপমান বলে তোপ তাপস চট্টোপাধ্যায়ের।
এই প্রথম নয়, গতবারও তাঁর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক জিম্বো। স্থানীয় রাজনীতিতে তাপস চট্টোপাধ্যায় ডাক নামেই বেশি পরিচিত। তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'এটা গত বছরেও হয়েছিল। তখন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তখনও কোনও সদর্থক উত্তর পাইনি।'
কেন তাহলে বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরছেন না বিধায়ক? তাপসবাবুর জবাব, কীভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে হয় তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেছেন, 'আমার তো কথা বলার সুযোগ নেই। কী পদ্ধতিতে কথা বলতে হয় তা আমি জানি না। আমি গত দেড় বছর ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি, কিন্তু সুযোগ নেই। বা দলের পরিকাঠামোর মধ্যে এজেন্ডাগুলো তুলে ধরতে চাইছি। কিন্তু সুযোগ হয়নি।'
আরও পড়ুন- দুই তাপসের ‘বিষ’ বোমা, এখনও চুপ তৃণমূল! আজই মুখ খুলবেন মমতা?
কথায় কথায় তৃণমূলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে গলা ফাটান জোড়া-ফুলের বড়, মেজ নেতারা। তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য নেতৃত্বের সেই দাবিকেই চ্যালেঞ্জ করছে। তাপসের নিজস্ব বিশ্লেষণ, 'আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
কী বলেছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়?
'আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি নিজে আমন্ত্রিতও ছিলাম না। আমার কাজ বা স্ট্যাটাস বোধহয় এই ধরনের প্রোগ্রামে যাওয়ার উপযুক্ত নয়। দলে বাবু ও চাকরের মধ্যে আমরা বোধহয় সেকেন্ডটার মধ্যে পড়ি। যাঁরা বলেছিলেন আর ক’টা দিন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম বলেছিলেন তাঁরা ডাক পান। আমি ডাক পাই না। দিনরাত পরিশ্রম করা অপরাধ কিনা জানি না। বিষয়টা খুব অপমানের। স্থানীয় বিধায়ককে বাদ দেওয়া হল। আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'তাপস দা সিনিয়র মানুষ। তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক। মনপ্রাণ দিয়ে তৃণমূল করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। স্নেহও করেন। অভিষেকও তাঁর উপর আস্থা রাখেন। কঠিন সময়েও সঙ্গে ছিলেন। বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন। তাপস দা যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে তা মিটে যাবে, আমি নিশ্চিত। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।'
'অভিষেকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগই নেই', জিম্বোর তোপ, চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের অন্দরের গণতন্ত্র
ইকো পার্কে রাজ্য প্রশাসন আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। বেআব্রু তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়া। সেই রেশ এখনও টাটকা। তার মধ্যেই বোমা ফাটিয়েছেন জোড়া-ফুলের আরেক তাপস। ইকো পার্কে রাজ্য প্রশাসন আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। ইকো পার্কে কোনও রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠান হলেই স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে কেন তিনি ব্রাত্য তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাপসবাবু। গোটাটা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অপমান বলে দেখতে নারাজ তিনি। উল্টে আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টিকে নিউটাউনবাসীর অপমান বলে তোপ তাপস চট্টোপাধ্যায়ের।
এই প্রথম নয়, গতবারও তাঁর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক জিম্বো। স্থানীয় রাজনীতিতে তাপস চট্টোপাধ্যায় ডাক নামেই বেশি পরিচিত। তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'এটা গত বছরেও হয়েছিল। তখন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তখনও কোনও সদর্থক উত্তর পাইনি।'
কেন তাহলে বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরছেন না বিধায়ক? তাপসবাবুর জবাব, কীভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে হয় তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেছেন, 'আমার তো কথা বলার সুযোগ নেই। কী পদ্ধতিতে কথা বলতে হয় তা আমি জানি না। আমি গত দেড় বছর ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি, কিন্তু সুযোগ নেই। বা দলের পরিকাঠামোর মধ্যে এজেন্ডাগুলো তুলে ধরতে চাইছি। কিন্তু সুযোগ হয়নি।'
আরও পড়ুন- দুই তাপসের ‘বিষ’ বোমা, এখনও চুপ তৃণমূল! আজই মুখ খুলবেন মমতা?
কথায় কথায় তৃণমূলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে গলা ফাটান জোড়া-ফুলের বড়, মেজ নেতারা। তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য নেতৃত্বের সেই দাবিকেই চ্যালেঞ্জ করছে। তাপসের নিজস্ব বিশ্লেষণ, 'আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
কী বলেছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়?
'আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি নিজে আমন্ত্রিতও ছিলাম না। আমার কাজ বা স্ট্যাটাস বোধহয় এই ধরনের প্রোগ্রামে যাওয়ার উপযুক্ত নয়। দলে বাবু ও চাকরের মধ্যে আমরা বোধহয় সেকেন্ডটার মধ্যে পড়ি। যাঁরা বলেছিলেন আর ক’টা দিন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম বলেছিলেন তাঁরা ডাক পান। আমি ডাক পাই না। দিনরাত পরিশ্রম করা অপরাধ কিনা জানি না। বিষয়টা খুব অপমানের। স্থানীয় বিধায়ককে বাদ দেওয়া হল। আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'তাপস দা সিনিয়র মানুষ। তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক। মনপ্রাণ দিয়ে তৃণমূল করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। স্নেহও করেন। অভিষেকও তাঁর উপর আস্থা রাখেন। কঠিন সময়েও সঙ্গে ছিলেন। বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন। তাপস দা যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে তা মিটে যাবে, আমি নিশ্চিত। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।'