ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হলো তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের। এমনটাই দাবি মৃত ছাত্রের পরিবারের। যদিও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের মৃত্যু অজানা জ্বরে হয়েছে বলেই উল্লেখ করেছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার এলাকায়। কারণ, মৃত ছাত্রের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার গোপালপুরে। বর্ষায় মালদার ইংরেজবাজারে যে ডেঙ্গুর থাবা বসিয়েছে, ছাত্র মৃত্যুর পর তা মনে করছে স্থানীয়রা। ডেঙ্গু নিধনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার পুরসভা, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর নানান রকম উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তারপরেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই স্কুল ছাত্রের নাম বিট্টু ঘোষ (৯)। তার বাড়ি ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত গোপালপুর এলাকায়। মৃত স্কুল ছাত্র বিট্টুর এক বোন রয়েছে। বিট্টু স্থানীয় গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
বিট্টুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ,বিগত চার দিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রের প্রচণ্ড জ্বর ও সঙ্গে বমি হচ্ছিল। জ্বরের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার দুপুর দু'টো নাগাদ তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা (পিকু) ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করেন। চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই স্কুল ছাত্রের। পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় ওই স্কুল ছাত্রের রক্তের প্লেটলেট একেবারে কমে গিয়েছিল। পাশাপাশি ডেঙ্গুর যেসব লক্ষণ তার সবগুলোই ছাত্রটির শরীরে ছিল। পরিবারের সদস্যদের যা জানিয়েছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। পরিবারের সদস্যদেরকে বলা হয়েছিল রক্তের যোগান দিতে। পরিবারের সদস্যরা সেই মতো মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে প্রায় দু'ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও রক্তের সন্ধান পাননি বলে অভিযোগ। অবশেষে মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত স্কুল ছাত্রের মা জুগনী ঘোষ, বাবা রামা ঘোষ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। যদিও মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়ার সময় ডেট সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু'র উল্লেখ ছিল না। অজানা জ্বরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত্যু সংশাপত্রে উল্লেখ রয়েছে।