প্রধানমন্ত্রী মোদীর আশ্বাস সত্ত্বেও বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনে এক পয়সা কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়নি রাজ্য। সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুলবুলে রাজ্যের তিন উপকূলীয় জেলার ব্যাপক ক্ষয়খতি হয়েছে। এদিন বিধানসভায় তারই হিসাব দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেন তিনি।
বিধানসভায় কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
গত ৯ই নভেম্বর রাজ্যের বুকে আছড়ে পড়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকা। ক্ষতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশের। মৃত্যুও হয় বেশ কয়েকজনের। এরপরই টুইটে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একই আশ্বাস ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এক পয়সা কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য পেল না রাজ্য।'
আরও পড়ুন: বুলবুল নিয়ে রাজনীতি নয়, টাস্ক ফোর্স গড়ে কড়া বার্তা মমতার
এদিন বিধানসভায় বুলবুলে ক্ষয়খতির হিসাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ২৩ হাজার কোটি টাকার সাহায্য দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিন জেলার প্রায় ১৪ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমিতে চাষের খতি হয়েছে। ১৫ জন মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। ত্রাণ বাবদ রাজ্য ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে রাজ্য।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঝড়ের পর পরই কাকদ্বীপে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে গোটা এলাকা দেখেন তিনি। এছাড়া ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের কাজ খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক বৈঠকও সারেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের তরফে দুর্গতদের সব রকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস্ত করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ বন্টনে রাজনীতি দূর করতে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়।
Read the full story in English