পদক্ষেপ করল পুলিশ। আনিস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ২ জন পুলিশকর্মীকে। আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে আমতা থানার এক এএসআই সহ ৩ পুলিশকে। তলব করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। এরপরও জামিয়ার মৃত ছাত্রনেতার পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে তাঁরা সন্তুষ্ট নয়। সিবিআই তদন্তের দাবিতেই এখনও অনড় আনিসের বাবা সালেম খান। বললেন, 'এই পুলিশকে দিয়ে কারা আমার ছেলেকে মার্ডার করালো তাদের ধরতে কোর্ট নজরে সিবিআই তদন্তের দরকার।'
আনিস খানের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ান প্রীতম ভট্টাচার্যকে। থাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। প্রথমে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরে, ধৃতদের নাম প্রকাশ্যে আনেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। একই সঙ্গে এই পুলিশকর্তার অভিযোগ, 'সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। আমাদের আবেদন, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হোক। ১৫ দিনের মধ্যে সিট তদন্ত রিপোর্ট দিতে সংকল্পবদ্ধ।' মুখ্যমন্ত্রীও জানান যে, 'পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। প্রকৃত দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিন।'
আরও পড়ুন- আনিসকাণ্ডের তদন্তে বাধা, নেপথ্যে কিছু রাজনৈতিক দল, সাফ দাবি DG-র
তবে পুলিশের এই সক্রিয়তায় নোটেই খুশি নন আনিস খানের পরিবার। সালেম খান বলেছেন, 'এই পুলিশকে দিয়ে আমার ছেলেকে কারা খুন করালো? তার জন্য সিবিআই তদন্ত দরকার। আমি আদালতের নজরে সিবিআই তদন্ত চাই। আমি দুই পুলিশ কর্মীর গ্রেফতারিতে খশি নই। সিবিআই তদন্তে যা বের হবে তাই আমি মেনে নেব।'
ডিজি মনোজ মালব্যেরর দাবি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় প্রকাশ্যে আসবে। এনিয়ে সালেম খান বলেছেন, 'আমি সিটের কথায় বিশ্বাসী নই।'
আরও পড়ুন- আনিসকাণ্ডে গ্রেফতার ২ পুলিশকর্মী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা
আনিসের দাদা সাব্বির খানের কথায়, 'ধৃত পুলিশকর্মীরা কী অপরাধী? না কি ওদের সন্দেহজনক বলে গ্রেফতার করা হল? ওরা যে দোষী তা প্রমাণিত হয়েছে? সঠিক লোক গ্রেফতার হয়েছে এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। আমরা সিবিআই-ই চাই।'
সিবিআই তদন্ত করলেই যে সঠিক তথ্য বের হবে তা মনে করেন না মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের নিশানা করে সেই কথাই তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'এত দুর্বল ভাবনেন না আমাদের। নন্দীগ্রাম তদন্ত সিবিআই করেছে। ওরা কী লক্ষ্ণণ শেঠকে গ্রেফতার করেছে? সিঙ্গুরে তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড কী হয়েছে? শান্তিনিকেতনের নোবেল উদ্ধার হয়েছে? নিজেদের ক্ষমতা নেই বলে রাজ্যের পুলিশ কাঠামোটা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের বাড়িতে কিছু হলে পরবর্তীকালে পুলিশ ডাকবেন না তো?'