জমি অধিগ্রহণে বাধার সম্মুখীন না হতে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মতি নিয়েই দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লক প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। সোমবার সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। জমিদাতা বা তাঁর পরিবারের কাউকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরি, ঘোষণা মমতা সরকারের।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জমিদাতাদের পরিবারের এক জনকে সিনিয়র বা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। সরকার সে জন্য ৫১০০ শূন্যপদ তৈরি করেছে। সরকারের হাতে ওখানে হাজার একর জমি রয়েছে। এর বাইরেও যাঁরা জমি দিতে চাইবেন, তাঁদের চাকরির সঙ্গে ক্ষতিপূরণ এবং জমির পাট্টা দেবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ১৩৯ জন জমি দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, যাঁরা জমি দিচ্ছেন, তাঁদের পাট্টাও দেব। জমির বদলে জমি দেব। পাট্টা, ক্ষতিপূরণ সব দেব। সূত্রের খবর, সরকারের হাতে থাকা জমিতে প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। আরও জমি পেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কথা বলছেন। তাঁদের সম্মতি নিয়ে ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ জানিয়ে দেওয়া হবে। তার পরই তাঁদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্পর্কে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা অটুট’, ফের টুইট রাজ্যপাল ধনকড়ের
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে বিধানসভায় মুখ্য়মন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, ‘দেউচা-পাচামি প্রকল্পে আমার সরকার কোনও জেদাজেদিতে যাবে না। বরং সকলের আস্থা অর্জন করেই বিনিয়োগ হবে। রাজ্য সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তারপর কারও কোনও দাবিদাওয়া থাকলে বসে আলোচনা হবে। এই শিল্প হলে এখানে বিদ্যুতের দাম অনেকটাই কমে যাবে। রাজ্যের মানুষের সুবিধা হবে। এখানে কোনও ইগোর ব্যাপার নেই।‘