ফের উত্তপ্ত বীরভূমের দেউচা পাঁচামি। এবার প্রশাসনের বোরিং মেশিন আটকে বিক্ষোভ দেখাল জল জমি জঙ্গল অধিকার রক্ষা কমিটি মহাসভা। বিক্ষোভের মুখে পরে পিছু হঠে প্রশাসন। প্রতিবাদে গ্রামে ঢোকার মুখে চরকা লাগায় আদিবাসীরা। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার থেকে দেউচায় ফের অগ্নিগর্ভ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেউচা পাঁচামি থেকে কয়লা তোলা নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে আন্দোলন চালাচ্ছে আদিবাসীরা। কয়লাখনির প্রতিবাদ করে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গ্রামে ঢোকার মুখে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ বসেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে কোনও রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আদিবাসীদের দাবি ছিল, তারা নিজেরাই এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এরই মধ্যে দিন দুয়েক আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইচ্ছুক জমি দাতা ৩০০ জনকে জুনিয়ার কনস্টবল পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে মহম্মদ বাজারের বিডিও অভিষেক মিত্র, মহম্মদ বাজার ওসি তাপাই বিশ্বাস বোরিং মেশিন নিয়ে কেন্দ্রডাঙ্গা গ্রামে যান। গ্রামে ঢোকার মুখেই তাঁদের আটকে দেয় আদিবাসীরা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা পানীয় জলের জন্য বোরিং মেশিন নিয়ে খনন কাজ চালাবেন। কিন্তু আদিবাসীরা তাদের কথায় আস্থা রাখতে পারেননি। বোরিং মেশিন ও গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। বিক্ষোভের মুখে পিছু হঠে পুলিশ প্রশাসন। এদিকে আদিবাসীরাও জানিয়ে দিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। প্রতিরোধ গড়তে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, “আমরা আদিবাসীদের পাশে রয়েছি। জোর করে কয়লাখনি গড়ার বিরুদ্ধে আমরা। আমরা চাই মানুষকে বুঝিয়ে তাদের জমি নিয়ে প্রকল্প গড়া হোক। কারণ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও এক সময় শিল্পের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এখন জোর করে জমি নিলে আমরা মেনে নেব না।”
জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “ওখানে পানীয় জলের জন্য বোরিং করা হচ্ছে। আমরা আদিবাসীদের বুঝিয়ে কাজ শুরু করেছি।”