পুলিশ পরিচয় দিয়ে এবার খাস কলকাতাতেই ডাকাতির অভিযোগ। ব্যবসায়ীর গাড়ি থামিয়ে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ। আর এই ডাকাতির অভিযোগে যে দুই পুলিশকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের একজনের পরিচয় জেনে চোখ কপালে উঠেছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই পুলিশকর্মীর মধ্যে একজন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর দেহরক্ষী মহম্মদ শাহাজাহান।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল কলকাতার পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি থামান দুই পুলিশকর্মী। অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর থেকে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন ওই দুই পুলিশকর্মী। গোটা ঘটনা পরে থানায় জানান ওই ব্যবসায়ী। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল চত্বরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। একইসঙ্গে চলে জিজ্ঞাসাবাদও।
আরও পড়ুন- একটানা জেলবন্দি পার্থ, নাগরিক পরিষেবা মসৃণ রাখতে বেহালা পশ্চিমে ফের ভোট?
শেষমেশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে এক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল প্রবীণ প্রসাদ। তাঁকে জেরা করতেই অপর অভিযুক্তের নাম পায় পুলিশ। শেষমেশ কলকাতার গোপালনগরের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয় পুলিশকর্মী মহম্মদ শাহাজাহানকেও। ধৃত শাহাজাহানই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত। খোদ রাজ্য পুলিশের প্রধানের দেহরক্ষী ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ মহলের অন্দরে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- বাবার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল মেয়ে, সুকন্যাকে তিহাড়েই পাঠাল আদালত
খেদা রাজ্যের প্রধান পুলিশকর্তার দেহরক্ষীর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার এমন অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। ডিজির তরফে এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ইস্যুতে ডিজিকে বিঁধেই সু চড়িয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মনোজ মালব্যকে গ্রেফতার করা উচিত। আমার কাছে সব তথ্য আছে।"