আবারও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। এবার রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুর চড়ালেন ধনকড়। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ''সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ও আইন না মেনে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগের কোনও আইনি বৈধতা নেই। শীঘ্রই প্রত্যাহার না করা হলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে।'' এদিন রাজ্যপাল তাঁর টইটে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি তালিকাও পোস্ট করেছেন।
পদাধিকার বলেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন। তবে জদগদীপ ধনকড়ের অভিযোগ, তাঁর অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর,কলকাতা, গৌড়বঙ্গ-সহ রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অনুমোদন ছাড়া এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ অবৈধ বলেও দাবি রাজ্যপালের। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করারও দাবি তুলছেন জগদীপ ধনকড়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এদিন সকালে করা একটি টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ''এই নিয়োগের কোনও আইনি বৈধতা নেই। শীঘ্রই প্রত্যাহার না করা হলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে।'' যদিও রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই কলকাতায় ১৫-১৮ বয়সীদের করোনা টিকা, কী বললেন ফিরহাদ হাকিম
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। এরাজ্যে ধনকড় রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে নানা ইস্যুতে সরকারে সঙ্গে তিনি সংঘাতে জড়িয়েছেন। সর্বশেষ সংঘাত তৈরি হয় হাওড়া-বালি পুরসভা পৃথকীকরণ বিল নিয়ে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি ছিল, রাজ্যপাল হাওড়া-বালি পৃথকীকরণ বিলে সই করেছেন। তবে রাজ্যপালের দাবি, এমন কোনও বিলে তিনি সই করেননি।