/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/dharmotala.jpg)
রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। ছবি- শশী ঘোষ
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের জোড়া মিছিলে অবরুদ্ধ ধর্মতলা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ, শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দু'টি মিছিল শহিদ মিনারের উদ্দেশ্যে বের হয়। জমায়েতের পর একটি শিয়ালদা থেকে, অন্যটি হাওড়া থেকে ধর্মতলামুখী হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ দু'টো মিছিল ধর্মতলায় এলে অবরুদ্ধ হয় কলকাতার ব্যস্ততম এলাকা। যার প্রভাব পড়ে গোটা মধ্য কলকাতাজুড়ে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/d1-1.jpg)
বুধবার ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে এদিন পাল্টা স্লোগান তোলেন আন্দোলনকাকীরা। 'চোর-চোর' বলে স্লোগান দেন সরকারী কর্মীরা।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/d2.jpg)
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমাবেশে এদিন দুপুরে হাজির হন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা। আসেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'আদালত বলেছে ডিএ সরকারি কর্মীদের ন্য়ায্য অধিকার। কোনও অনুদান নয়। আমি নিশ্চিত আপনাদের আন্দোলন সফল হবেই। যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বকেয়া পাওনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন না সেই সরকার আমার-আপনার অধিকার কেড়ে নিতে সরকারি অর্থ থরচ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। অর্থাৎ দাবি কেড়ে সকলকে অনুদান নির্ভর করে তোলাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। গতকাল মুখ্যমমন্ত্রী বলেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা চোর ডাকাত। আমি আমার চোর-ডাকাত বন্ধুদের বলব এই চোর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে এমন আন্দোলন করুন যাতে নবান্নর ১৪তলা থেকে বোঝা যায় সরকারি কর্মীরা শুধু ঘেউ ঘেউ করে না প্রয়োজনে কামড়েও দিতে জানে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/d3.jpg)
এদিকে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আম্মূবেদকর মূর্তির নীচে বুধবার থেকে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা চলবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী দেখতে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ধরনা মঞ্চে এদিন সকালেরাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই গান গেয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।