এবার 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচিতে বেরিয়ে অবাক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন রাজ্যের মন্ত্রী তথা 'দিদির দূত' জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্বশুর-ঘর ছেড়েছেন বউমা। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে উঠেছেন পুত্রবধূ। বউমার মান ভাঙিয়ে ফের তাঁকে ফিরিয়ে আনার বায়না জুড়লেন শাশুড়ি। এব্যাপারে 'দিদির দূত'কেই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ বৃদ্ধার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে-গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন দিদির দূতেরা। গত কয়েক সপ্তাহে দলের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে বেরিয়ে দিকে-দিকে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের। জায়গায়-জায়গায় আবাস দুর্নীতি, রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে শাসকদলের নেতাদের কাছে অভাব-অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফের একবার প্রতিশ্রুতি দিয়েই জনতার ক্ষোভ সামাল দিতে দেখা যাচ্ছে নেতাদেরও।
তবে এবার এক অবাক আবদারের সম্মুখীন হলেন 'দিদির দূত' তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দলের কর্মসূচি সারতে উত্তর চব্বিশ পরগনার গাইঘাটায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক বৃদ্ধার অবাক আবদারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ১৫ বছর আগে নদিয়ার স্বপ্না সরকারের বিয়ে হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার তরঙ্গহাটির গীতা সরকারের ছেলে পরেশ সরকারের সঙ্গে।
গীতাদেবীর দাবি, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বৌমা সংসার না করতে চেয়ে মাঝেমধ্যেই চলে যাচ্ছিলেন। আবার ফিরেও এসেছেন। কিন্তু দু'বছর ধরে বৌমা আর ফিরছেন না। তাঁর বৌমা সংসার করতেই চাইছেন না বলে দাবি ওই বৃদ্ধার। ছেলের সংসার বাঁচাতে তাই বউমাকে ফেরাতে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে আবেদন জানালেন শাশুড়ি গীতা সরকার।
আরও পড়ুন- জোরালো ঠান্ডার গ্র্যান্ড কামব্যাক দিন কয়েকেই? জানুন শীতের লেটেস্ট আপডেট
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ধর্মপুর দুই পঞ্চায়েতের তরঙ্গহাটিতে গিয়েছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 'দিদির দূত' হিসেবে দলের কর্মসূচি সারতেই ওই গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর কাছে নিজের পারিবিরাক সমস্যার কথা জানান গীতা সরকার নামে ওই মহিলা। যদিও ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে ঢুকতে চাননি মন্ত্রী। তবে সম্পর্কে রাজনৈতিক রঙ না লাগিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।