'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে দলের কর্মীদের 'অবাক বার্তা' কোচবিহারের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। 'পিঠের চামড়া যাতে না যায় সতর্ক থাকুন। গ্রামের রাইটার্স বিল্ডিং একবার হাতছাড়া হয়ে গেলে আর ফিরে পাবেন না।' সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনে দলীয় কর্মীদের এভাবেই সতর্কবার্তা প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা বর্তমানে কোচবিহার পুরভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।
ঠিক কী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ?
'সিপিএম একবার গ্রামের রাইটার্স বিল্ডিং হাতছাড়া হওয়ার পর আর ফিরতে পারছে না। ওদের দেখে শিক্ষা নিন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগে নিজের গাছ বাঁচান। তারপর ফল খান। তারপর ছায়া ভোগ করুন। গ্রামের রাইটার্স বিল্ডিং একবার হাতছাড়া হয়ে গেলে ফিরে পাবেন না। আপনাদের পিঠের চামড়া যাতে না যায়, সতর্ক থাকুন। যে দলটা একসাথে সবাই মিলে সৃষ্টি করেছি, জীবদ্দশায় এটা যেন দেখতে না হয় যে দলটা ধ্বংস হয়ে গেছে।'
আরও পড়ুন- ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপ আজ থেকে আরও বাড়বে, কোন কোন জেলায় তুমুল দুর্যোগ?
রবিবার 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের চিলাখানায় গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এভাবেই তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান। এদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে টিপ্পনি কাটতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা।
সিপিএমের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, 'দেরিতে হলেও রবিবাবুর সুমতি হয়েছে। ২০১৮-এর নির্বাচনে তো ভোট লুঠ করেছে ওরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওরা মানুষের ভোট লুঠ করে পঞ্চায়েত দখল করেছে। মানুষের ভোটে ওরা কোনওদিনই পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি।'
আরও পড়ুন- একরত্তিকে খুনের আগে যৌন নির্যাতন, তিলজলা-কাণ্ডে চমকে দেওয়ার মতো আরও তথ্য!
অন্যদিকে, কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরা ভাগ পায়নি। যা খাওয়ার উপর ও মাঝারিতলার লোকেরা খেয়ে নিয়েছে। এদের ক্ষোভ আছে। উনি সেই ক্ষোভ বুঝতে পেরেছেন। সেই ক্ষোভে মলম লাগানোর চেষ্টা করছেন।'