New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/n1-3.jpg)
দিঘা, রামনগর সহ সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরানো হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। কিন্তু, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে এই কাজ, দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।
একা করোনায় রক্ষে নেই, আমফান দোসর। জেরবার পূর্ব মেদিনীপুর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই দিঘা উপকূলে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। দিঘা, রামনগর সহ সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরানো হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। কিন্তু, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে এই কাজ, দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। শতাধিক স্কুল বাড়িতে আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পর্যটকহীন দিঘায় আমফানের থাবা। সুনশান সৈকত শহর। তবুও সোমবার বিকেল থেকেই মেরিন ড্রাইভে পুলিশের নজরজদারি ছিল কড়া। চলেছে মাইকিং। স্থানীয়দের সমুদ্রের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার সকালে দিঘার আরও করাছে এগিয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড়়। সঙ্গে রয়েছে তীব্র গতির হাওয়া। এদিন সকালেও দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। একই সঙ্গে নজরে এসেছে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতাও।
দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস, চলছে পুলিশি মাইকিং
ভিডিয়ো- শান্তনু চৌধুরী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস pic.twitter.com/MpyxdTu0tU— indianexpress bangla (@iebengali) May 20, 2020
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রামনগর ব্লকের বহু মানুষকে আশ্রয় শিবিরে সরানো হয়েছে। তবে বজায় রাখা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বিধি। এই আশ্রয় শিবিরেই পূর্ববর্তী দুর্যোগে যেখানে প্রায় ৭০০ বাসিন্দাকে থাকতেন , সেখানে এবার সংখ্যাটা মাত্র ১০০।
রামনগর ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও উৎপল রায়ের কথায়, 'পূর্ব মেদিনীপুর রেজ জোনের অন্তর্ভুক্ত। তাই করোনা সতর্কবিধির কথাও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আশ্রয় শিবিরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বুধবার গ্রামীণ রসুইঘরে থেকে খাবার দেওয়া হবে।'
প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরানো শিবিরে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। দিঘা, শঙ্করপুর, রামনগর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিবিরগুলিতে মানুষ আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সতর্কতার সঙ্গে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের। এ জন্য শতাধিক পাকা স্কুল বাড়িকে শিবিরে রূপান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০টি শিবির পূর্ণ হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন