/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/09/2LmKaIYxP6XPoGZa3gjB.jpg)
Digha Jagannath Temple: দিঘার জগন্নাথ ধামে বিশেষ পুজো।
special puja at Digha Jagannath temple: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের সময় বাংলার বাড়ি-বাড়িতে প্রসাদ পাঠানোর ঘোষণা করেছিলেন। সোমবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। যাবতীয় আচার রীতি মেনে প্রথমে প্রভু জগন্নাথদেবকে ক্ষীরভোগ নিবেদন করা হয়। এই বিশেষ প্রসাদি ক্ষীরই পাঠানো হবে জেলায় জেলায়। এই ক্ষীর দিয়েই তৈরি হবে প্রসাদ। সেই প্রসাদ ১৭ জুন থেকে বিতরণ করা হবে রাজ্যব্যাপী।
দিঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টি এবং কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে আনা উৎকৃষ্ট মানের খোয়া ক্ষীর, এই মহাযজ্ঞের অন্যতম প্রধান উপকরণ। জগন্নাথ দেবের সামনে থরে থরে সাজানো রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নাম লেখা সুসজ্জিত বক্স। সেই বক্সে রয়েছে প্রসাদি ক্ষীর। পুজার্চনা শেষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রসাদ তৈরির জন্য এই পুজো করা ক্ষীর পাঠানো হবে।
এই ক্ষীর দিয়ে তৈরি হবে প্রসাদ। প্রসাদ তৈরি হয়ে গেলেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা জেলার বাড়িতে-বাড়িতে এই প্রসাদ পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ২৭ জুন রথযাত্রার আগে এই প্রসাদ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। তবে রথযাত্রার মধ্যে সেই কাজ শেষ না হলেও উল্টোরথের মধ্যে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ যাতে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যায় তার ব্যবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের BJP বিধায়কের দাবি, রাজ্য সরকার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ দেওয়ার নামে হিন্দুদের আস্থায় আঘাত করছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, "এগুলি মিষ্টি হিসেবে গ্রহণ করবেন, প্রসাদ হিসেবে নয়। এটা আসলে প্রসাদই নয়।"