দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ রাজ্যের ঘরে ঘরে পৌঁছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রথযাত্রার আগেই বাংলার কোনায় কোনায় প্রতিটি ঘরে এই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় প্রখ্যাত মিষ্টির দোকানের তালিকা চাওয়া হয়েছে নাকি SDO-BDO-দের কাছে। রাজ্যের এই তৎপরতায় তুমুল আপত্তি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে কেন পাড়ার দোকানের মিষ্টি দেওয়া হবে? শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্য সরকার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ দেওয়ার নামে হিন্দুদের আস্থায় আঘাত করছে। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা বলেন, "এগুলি মিষ্টি হিসেবে গ্রহণ করবেন, প্রসাদ হিসেবে নয়। এটা আসলে প্রসাদই নয়।"
জানা গিয়েছে, দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে প্যাকেট রাজ্যের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। আগামী ২৭ জুন রথযাত্রা। রথযাত্রার আগে এই তৎপরতা সেরে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। তবে কোনওভাবে তার মধ্যে সম্ভব না হলে উল্টো রথের মধ্যেই যাতে এই প্রসাদ বিতরণের কর্মসূচি সেরে ফেলা যায় সে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। জানা গিয়েছে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে যে মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হবে তাতে থাকবে পেঁড়া এবং গজা।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:বাংলাদেশে কবে হবে নির্বাচন? দিন ঘোষণা মহম্মদ ইউনূসের
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দিঘার মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে তোলা অভিযোগে বিশেষ আমল দিতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেছেন, "সব মানুষের কাছেই এই প্রসাদ যাবে। হিন্দু,মুসলিম, শিখ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এই প্রসাদ পাবেন। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প। ধর্ম আমার, ধর্ম তোমার উৎসব যেমন সবার এই মহাপ্রসাদও সবার। বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমাণ করলেন ওনার মত সেকুলার একজন প্রশাসক ভারতবর্ষ কখনও দেখেনি।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update today:দুপুর গড়ালেই অঝোরে বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে, আবহাওয়ায় বড় বদল সোমবার থেকেই?