পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই জেলায়-জেলায় শুরু অশান্তি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় ব্যাপক গন্ডগোলের ঘটনা সামনে এসেছে। মনোনয়নপত্র জমার প্রথম দিনেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হতে হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীকে। এই অশান্তি এবার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার থেকে মনোনয়ন-অশান্তি কি আরও বাড়তে পারে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'হ্যাঁ, নমিনেশন তো শুরুই হয়নি। যেটুকু হয়েছে বিজেপিই করেছে অর্ধেকের বেশি সিটে। বিজেপিই এগিয়ে আছে। কিন্তু সোমবার থেকে ব্যাপক হবে এবং ব্যাপক গন্ডগোল হবে। পুলিশের ক্ষমতা নেই আটকায়। চটি পড়া লাঠি হাতে সিভিকেরাও আটকাতে পারবে না। মমতা ব্যানার্জি চাইছেন গন্ডগোল হোক আর সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে নেবেন।'
আরও পড়ুন- মুরগি ভেবে ছোট্ট ছানার প্রতিপালন, বড় হতেই তার রূপ দেখে চক্ষু চড়কগাছ!
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ধরা পড়েছেন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। বিরোধীদের মনেনায়নপত্র জমা দেওয়া আটকাতেই ডোমকল বিডিও অফিস চত্বরে কার্যত পাহারায় ছিলেন ওই ব্যক্তি, এমনই অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন- কোথায় পেলেন বন্দুক? ধৃত তৃণমূল নেতাকে এপ্রশ্নেও ‘ভীত’ পুলিশ? সোচ্চার বিরোধীরা
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি ওখানে কয়েক বছর আগে মিউনিসিপ্যালিটি ইলেকশনে গেছিলাম। গিয়েছিলাম প্রচার করতে। প্রচার হলো কিন্তু ভোট কাউকে করতে দিল না। নজরুল ইসলাম ইলেকশন লড়তে গেছিল তার উপরে আক্রমণ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নেই ওখানে। গায়ের জোর চলে। এখন সব দিক দিয়ে সমাজ বিরোধী সবার মধ্যেই মারামারি হচ্ছে।'