দলীয় কর্মসূচি সেরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আচমকা হাজির হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু উভয়ই রাজনীতিবিদই এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
ব্যান্ডেলের দলীয় কর্মসূচি সেরে শ্রীরামপুরের চাতরাতে মান্নানের বাড়িতে এদিন চা খেতে হাজির হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বেশ কিছুক্ষণ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। কী কথা হল দু'জনের? দিলীপবাবু বলেন, 'মান্নানদা পশ্চিমবঙ্গর একজন বরিষ্ঠ নেতা। কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করছেন। উনি সকলের শ্রদ্ধেও। আমার ব্যক্তিগতভাবে ওনার সঙ্গে আমার পরিচয়। বিধানসভায় আমার প্রবেশের পর ওনার থেকে অনেককিছু শিখেছি। কখন ওনার কাছে গিয়ে বসতাম, গল্প করতাম। একবার ফোনে কথা হয়েছিল। দেখা করার ইচ্ছে ছিল। তাই দেখা করে গেলাম।'
দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে রাজনীতি প্রসঙ্গে কী কোনও চর্চাই হয়নি? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'দু'জন নেতার সঙ্গে যখন দেখা হয় তখন রাজনীতির চর্চা তো হবেই। কিন্তু রাজনীতির কথা কম হয়েছে। তবে এটাই সত্য যে উনি কংগ্রেস ছাড়বেন না, আমিও বিজেপি ছাড়বো না।'
আবদুল মান্নানের কথায়, 'আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেকের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ভালো। আমি সাংবাদিক দের মুখে শুনলাম উনি (দিলীপ ঘোষ) আমার বাড়ি আসছেন। গেস্ট এলে তো আপ্যায়ন করতেই হবে। আমি ওনাকে বলেছি এবার এলে আগাম খবর দিয়ে আসতে। আমি নিরামিষ খাওয়াবো। জগদীপ ধানকারকে বাড়িতে নিরামিষ খাইয়েছি আর ওনাকে খাওয়াতে পারবো না?'
দিলীপ-মান্নান সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে হুগলির প্রবীণ রাজনীতিবিদ তপন দাশগুপ্ত বলেছেন, টবিজেপি কংগ্রেস তলে তলে আঁতাত আছে এটা অনেকদিন আগে থেকেই আমরা জানতাম। এদিনের ঘটনাই তা প্রমাণ করে দিলো।'