আবারও স্বমহিমায় প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রেশন দুর্নীতি ইস্যুতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমানকে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের। বাদ গেল না সিঙ্গুর ইস্যুও। টাটাদের কারখানা না হওয়ায় তৃণমূল-সিপিএম দুই দলকেই একাসনে বসিয়ে দুষলেন দিলীপ। এছাড়াও দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব ও কর্মীদের একাংশকে নিয়েও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য শোনা গেল প্রাক্তন সর্বভারতীয় বিজেপি সহ সভাপতির মুখ থেকে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
"আমি আগেও বলেছিলাম কোনও পার্মানেন্ট রোগে তিনি অসুস্থ নন। সিরিয়াস তো ননই। সাময়িক একটা ঝটকা খেয়েছেন। চাপে তো শরীর খারাপ হতেই পারে! এতক্ষণ ধরে জেরা করেছে, বি পি, সুগার বাড়তেই পারে। এখন তো সুস্থ আছেন। এখন যে উদ্দেশ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। তাড়াতাড়ি তাঁর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া উচিত। অনেক কিছু তথ্য বেরোতে পারে ওখান থেকে। অনেক ভেতরের লোক উনি, অনেক পুরনো লোক! তাই অনেক কিছু তথ্য বেরোতে পারে।"
বাকিবুরকে নিয়েও সোজাসাপ্টা দিলীপ…
"যারা এই ধরনের দালালি করে তারা সবার সঙ্গে যোগ রাখে। সবাইকে কিছু না কিছু করে পটিয়ে রাখে ওরা। কিন্তু তাদেরকে বাড়িয়েছে কারা?? এই ধরনের নেতারা!! তারা সুবিধা নিয়েছে। এই ধরনের দালাল… এদেরকে কিছুটা সুবিধা নিয়ে এদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের ফোঁড়ে দালাল তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গকে একেবারে দুর্নীতিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন- মহুয়ার আইফোন হ্যাকের চেষ্টা কেন্দ্রের? অ্যাপল ‘সতর্কবার্তা’ পোস্ট করে তোলপাড় ফেললেন সাংসদ
টাটাদের ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ রাজ্যকে, এবিষয়ে দিলীপ কী বললেন?
"এরা রাজনৈতিক স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সামাজিক বা দেশের কোনও লাভ হয়নি। এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো। তিন ফসলি জমি দেওয়াটাও ঠিক হয়নি, আবার সেই জমিকে বন্ধ করে দিয়ে বেকার করে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। সিপিএমও করেছে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে, টিএমসিও করেছে তাই। তার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরিও গেল, ব্যবসা গেল, জমিও গেল। এখন টাকাও যাবে… এর দায়টা কে নেবে?? এর দায় নিতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে মানুষের কাছে।"
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই গনিখানের জন্মদিন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে নজরকাড়া তোড়জোড় কংগ্রেস-তৃণমূলে
দলের নেতা-কর্মীদের 'জোশ' কমে গেছে? দিলীপের কী মত?
"জোশ কারও কম নয়। কর্মীদের মধ্যে জোশ কম আছে। কর্মীদের মধ্যে জোশ না এলে পার্টি এগোতে পারে না। যতদিন আমাদের মধ্যে জোশ ছিল, আমরা এগিয়েছি। সবাই আছে, আবার ইলেকশন আসছে। নেতারা আসবেন, নরেন্দ্র মোদী আসবেন। পাটি কর্মসূচি নিয়েছে, জোশ আবার আসবে।"