আবারও বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। ফের একবার বিজেপি সাংসদের মারাত্মক নিশানায় রাজ্য পুলিশ। তবে এবার পুলিশকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেনজির বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশকে হিজড়া বলে আক্রমণ বিজেপি সাসংদের। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিএসএফ-কেই এবার একহাত নিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও।
পুলিশকে বিঁধে কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
"হিজড়া পুলিশকে বলতে চাই। নপুংশক! দম আছে? তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কেস দিতে পারবে না। পুলিশের কাজ কি আমাদের মিটিং আটকানো? পারমিশন দেয় না। বললে আমাদের নামে কেস দেবে। মেদিনীপুরে পারমিশন নিয়ে আমরা মিছিল করেছিলাম। মিছিলে কেউ পার্থ সেজেছিলেন, কেউ কেষ্ট সেজেছিলেন। মমতা ব্যানার্জিরও মুখোশ ছিল। মিটিং শেষের পর আমি বেরিয়ে গিয়েছিলাম। যিনি মমতা সেজেছিলেন আর যিনি জ্যোতিপ্রিয় সেজেছিলেন তাঁদের পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে।"
পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "গরু, কয়লা, বালি পাচারের টাকা তুলবে। তোমাদের দম নেই চোরেদের গায়ে হাত দেওয়ার। বিজেপিকে চমকে লাভ নেই। পুলিশকে বলছি তোমাদেরও চাকরি করতে হবে। কাল চাকরি ছাড়লে খেতে পাবে না।"
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন মায়াবী পরিবেশ, উত্তরবঙ্গের এপ্রান্তের অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য লজ্জায় ফেলবে সুন্দরী রমণীদেরও!
এতো গেল দিলীপ-উবাচ। অন্যদিকে, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ অবশ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বিএসএফ-কেই তুলোদনা করেছেন শান্তনু। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাংশকে কাঠগড়ায় তুলে শান্তনু ঠাকুর যা বলেছেন তা নিয়েও তৈরি নতুন বিতর্ক।
আরও পড়ুন- শুধু টাকা চাইতেই মোদীর দরবারে মমতা? সঙ্গে আছেন অভিষেকও
কী বলেছেন শান্তনু ঠাকুর?
উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের এক সভা থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাংশকে নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, "তৃণমূলের দেওয়া স্লিপ দেখালেই সীমান্তে ছাড় দিচ্ছে। অথচ বিজেপি কর্মীরা তা পাচ্ছেন না। সাংসদ হিসেব এবার আমিও স্লিপ দেব। সেই স্লিপ এবার বিএসএফ-কে দেখাবেন। তারপরেও আটকালে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।"
আরও পড়ুন- এমন নৃশংস কান্ড জানলে হাড় হিম হবে! শীতের রাতে বীভৎস পরিণতি তৃণমূল নেতার