এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসা দেখেছে গোটা বাংলা। দিকে দিকে ছাপ্পাভোট, ব্যালটবক্স ছিনতাই, ভাঙচুর, আগুন তো ছিলই, মুড়ি-মুড়কির মতো প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। বহু জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। একাধিক ক্ষেত্রে পদ্ম বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে জোড়াফুল শিবির। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে প্রতিরোধ বলতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'কোথাও যদি মেরেই থাকে, তাহলে ঠিক করেছে।'
সোমবার রাজ্যের ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন। এদিনই নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবারের ভোটে একাধিক এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মীদের।
আরও পড়ুন- আজ প্রায় ৭০০ বুথে পুনর্নির্বাচন, অশান্তি জারি, কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি-গুলি
এককথায় বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির প্রতিরোধ এবারের ভোটে তৃণমূলের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বহু জায়গায় তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'কোথাও যদি মেরেই থাকে ঠিকই আছে। যেখানেই শক্তি দেখাতে এসেছিল আমরা আটকেছি। সাধারণ মানুষ তো ওদের তাড়া করেছে। তবে পুলিশ আমাদেরই আটকেছে। সাধারণ মানুষ মার খায়। প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাদের উপরেই লাঠি চালায়।'
এবারের ভোটে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূলকর্মী ছিলেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওদের লোক নয়। ওরা গুন্ডা। ওদের দিয়েও এতদিন ভোট করানো হত। তবে এবার সাধারণ মানুষই আগে থেকে তৈরি ছিল। পাবলিক ওদের বেঁধে পিটিয়েছে। গুন্ডাদের কেউ কেউ মারা গিয়েছে। তৃণমূলের লোক মানেই গুন্ডা।'