Dilip Ghosh BJP TMC Burdwan Durgapur: গণনা দূরের কথা, ভোটের প্রচারও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে সবুজ আবিরে মাখামাখি হলেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকরা। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে চলল বিজয় উৎসব।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে দিলীপ ঘোষকে। নাম ঘোষণার পর বর্ধমানে এসেই দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। তিনি রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা বলেন। তার জন্য তাঁর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনকী নির্বাচন কমিশনও বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে শোকজ করে। সেসব এখন অতীত। ১৩ মে ভোটের আগে পুলিশই যেন হয়ে উঠেছে দিলীপ ঘোষের প্রধান প্রতিপক্ষ।
বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস-কে নিশানা করে বৃহস্পতিবার অশিষ্ট শব্দ ব্যবহার থেকে শুরু করে আইসি-কে জুতিয়ে লম্বা করে দেওয়া, এমনকি আইসির প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এই হুঁশিয়ারির জেরে অবশ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে। তা সত্ত্বেও দিলীপ রয়েছেন নিজের মতই। ফের শুক্রবার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানালেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস যদিও দিলীপ ঘোষের এইসব হুঁশিয়ারিকে ফাঁকা আওয়াজ বলে কটাক্ষ করেছেন। একইসঙ্গে প্রসেনজিৎবাবু বলেন, যা বুঝতে পারছি- উনি (দিলীপ ঘোষ) খেলার আগেই গোল খেয়ে বসে আছেন। তাই যা খুশি, তাই বলছেন। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে তৃণমূল নেতৃত্ব কমিশনের কাছে দরবার করেছে বলেও প্রসেনজিৎ দাস জানান।
এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ যখন হুঁশিয়ারি দিতে ব্যস্ত, তখন তৃণমূল আগাম বিজয় উৎসব শুরু করেছে এলাকায়। ভোটের দু’দিন আগে, অর্থাৎ শুক্রবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন ভাতার বিধানসভার তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় বের করে ফেলেন বিজয় মিছিল। সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে ভাতার বাজারে করা ওই বিজয় মিছিলে এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ছাড়াও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি-সহ বহু তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- শহরতলির যাত্রীদের গ্যাঁটের কড়িতেই ভাঁড়ার উপচে আয়! সর্বকালীন রেকর্ড পূর্ব রেলের!
ভোট হওয়ার আগে এমন বিজয় মিছিল প্রসঙ্গে মানগোবিন্দ অধিকারীর সাফাই, 'ভাতার বিধানসভায় আমরা জিতব। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ১ লক্ষ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জিতবেই। তাই আজ আগাম বিজয় উৎসব সেরে নেওয়া হল।' যদিও এনিয়ে জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, '৪ জুন ভোটের রেজাল্ট বের হওয়ার পর তো ওদের মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজতে হবে। ওদের আর মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। সেটা যে তৃণমূল বিধায়ক আগাম বুঝে গিয়েছেন, তারই প্রমাণ হল এদিনের বিজয় মিছিল।'