/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/DGk.jpg)
দিলীপ ঘোষ।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার রাজ্যের শাসকদল বাম আমলের কেচ্ছা সামনে আনছে প্রত্যেকদিন। এই সুযোগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ বাম আমলের মন্ত্রী তথা বাবা কমল গুহকে কাঠগড়ায় তুলেছেন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে উদয়নের সুরেই বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব দিলীপ।
কী বলেছেন দিলীপ?
দিলীপ বলেছেন, "শুধু তৃণমূলের আমলেই নয়, ৩৪ বছর বাম অপশাসনেও হাজার হাজার চাকরি হয়েছে চিরকুটের মাধ্যমে। বিধানসভায় শুধু আসন ভাগাভাগি নয়, চাকরিও ভাগ করে নিত সব বাম দলগুলি।" প্রসঙ্গত. রাজ্যে ইতিমধ্যেই একের পর এক শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। সেই তালিকায় চুনোপুঁটি থেকে রাঘববোয়ালের নামও রয়েছে।
Not only during the TMC era, but also during the 34-year Left misrule, thousands of jobs were given through chits. The various Left parties used to share not only seats in the assembly but also jobs. pic.twitter.com/jz5ic3Fp7P
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) March 27, 2023
দিলীপ টুইট করে রীতিমতো বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক কষে দেখিয়েছেন। তিনি একটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, ১০০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে বাম আমলে। কীভাবে সরকারি চাকরি বামপন্থী দলগুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ করত তা-ও দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ৬০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত করে রাখত সিপিএম, ৩৫ শতাংশ ফরোয়ার্ড ব্লক এবং ৫ শতাংশ সিপিআই এবং আরএসপি।
এদিকে, সিপিএমের অস্বস্তি বাড়িয়ে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা সমীর পুততুণ্ড। বর্তমান পিডিএস নেতা সমীরবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএম নেতা ছিলেন। ১৯৮৫ সালে জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হয়েছিলেন। তারপর দলের জেলা সম্পাদক হন। তাঁর দাবি, ‘সুজনের বিয়ের আগের ঘটনা। মিলির চাকরিটা হয়ে গেলে সুজনদের সুবিধা হবে। আমায় তখন বারবার তাই ইনসিস্ট করা হয়েছিল। তখন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজের একটা সুযোগ ছিল। করে দিয়েছিলাম।’
সমীর পুততুণ্ড অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, যখন যে রাজনৈতিক দল প্রশাসন চালায়, তখন সবাই নিজের দলের লোককে রিক্রুট করে। এটার ভারতের সর্বত্র হয়ে থাকে।