কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলো। ডিএ আন্দোলন ঘিরে বঙ্গ রাজনীতির পারদ চড়ছে তড়তড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে গত দশ বছরে বাংলার বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন ফেসবুক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। ২০১১ সালের সঙ্গে ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন ও ভাতার তুলনা টেনেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
সোশাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন দিলীপ ঘোষ?
সাশাল মিডিয়ায় পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ২০১১ সালে মন্ত্রী ও বিধায়করা ডিএ পেতেন ৭৫০ টাকা। ১১ বছর পরে ২০২২ সালে তা বেড়ে মন্ত্রীরা পান ৩ হাজার ও বিধায়করা পেয়ে থাকেন ২ হাজার টাকা করে।
দিলীপ ঘোষের শেয়ার করা পোস্ট অনুযায়ী, গত ১১ বছরে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক গুণ। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ছিল ৮,৫০০ টাকা। সেখানে ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বেড়়ে হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১১-তে বিধায়কদের বেতন ছিল ৭,৫০০ টাকা। ২০০২ সালে যা হয়েছে ৮২ হাজার টাকা।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির প্রশ্ন, 'দেখো ভালো জনে রইল ভাঙা ঘরে, মন্দ সে যে সিংহাসনে চড়ে একদিকে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিচ্ছে না অপরদিকে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি করে চলেছে সরকার। এই অরাজকতা আর কতদিন?'
বকেয়া ডিএ-র বিরুদ্ধে রাজপথে ধরনায় বসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সরব শাসক দল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর আগেই স্পষ্ট করেছেন যে, বাংলার সরকারি কোষাগারের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বৃদ্ধি অসম্ভব। পাল্টা, জোরদার আন্দোলনে পেন ডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যারপর গত সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া ছিল, 'চিরকুটে চাকরি নিয়ে বেতন পেনশন পাচ্ছেন, আবার আরও চাই। প্রতিদিন বলছে পেন ডাউন করব। কাজে আসবে না। জানে না এগুলো জনগণের টাকা। জনগনের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করছে। সবার কথা বলছি না। কয়েকটা আছে হাতে গোণা। জনগণের সোনা নিয়ে পেন ডাউন করবে!'
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বর্তমানে ওই মামলা শীর্ষ আদালতে পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হবে।