এনসিসি ফান্ড বন্ধ নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। ''এনসিসি করলে কেউ মাটি মানুষের ঝাণ্ডা ধরবে না, জয় বাংলা বলবে না, তাই বোধ হয় ফান্ড বন্ধ করে দিচ্ছে।'' বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এনসিসি-র ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে এনসিসি-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নালিশ জানিয়েছেন সংস্থার ডিজিকে। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে এনসিসি ফান্ড বন্ধের অভিযোগ ঠুকেছেন সংস্থার ডিজি। টাকার অভাবে বাংলায় এনসিসি-র ক্যাম্পের আয়োজন করা যাচ্ছে না বলে দাবি করে সংস্থা। এমনকী টাকা অ্যালটমেন্ট না হলে এরাজ্যে নতুন ক্যাডেট না নেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছে এনসিসি।
আরও পড়ুন- সংস্থার আয়-ব্যয় নথি খতিয়ে দেখবে ইডি, লক্ষ্মীবারেই তলব কেষ্ট-কন্যাকে
রাজ্যের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় শাসকদলকে আক্রমণ করে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ''দেশের স্বার্থেই আমাদের যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ হওয়া উচিত। স্কুল লেভেল থেকে এই প্রশিক্ষণ হয়। সারা দেশে এটা চলছে। সেনার লোকজন এসে প্রশিক্ষণ দেন। বহু ছেলে-মেয়ে উপকৃত হয়। কিন্তু পশ্চিমবাংলার সরকার মনে করে তাদের পার্টির নেতাদের মতো সবাই চোর, দুশ্চরিত্র ও ইনডিসিপ্লিনড হোক। এনসিসি করলে কেউ মা-মাটি-মানুষের ঝাণ্ডা ধরবে না, জয় বাংলা বলবে না। তাই বোধ হয় ফান্ড বন্ধ করে দিচ্ছে।''
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এনসিসি ফান্ড বন্ধ নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা করেছেন। তিনি বলেন, ''রাজ্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। এনসিসি-কে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছে বলছে, বাহাদুরি? গুজরাত ২৬০ কোটি টাকা দিয়েছে। রাজ্যে পিএফআই থাকুক এরা চয়, এনসিসি থাকুক এটা চায় না।''
আরও পড়ুন- রাজ্য জুড়ে উৎসবের আমেজ, মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইন, তুঙ্গে ভাইফোঁটার আয়োজন
যদিও রাজ্যে এনসিসি-র ফান্ড বন্ধের অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। উল্টে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের প্রবল সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ''এনসিসি-র ফান্ড বন্ধ বলে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন গত ২০ তারিখে এনসিসির ফান্ডে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। যেভাবে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেবে সেভাবে বাকি টাকাও পাবে। দিলীপবাবু তাঁর কথায় এটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন এনসিসির মতো সংস্থারও গেরুয়াকরণ করতে চাইছেন ওঁরা। বিসিসিআইয়েরও গেরুয়াকরণ করেছেন।''