আবারও রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করে সোচ্চার দিলীপ ঘোষ। 'যেখানে হাত দিচ্ছে, টাকা বেরিয়েই যাচ্ছে।' রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি-অফিসে টাকার পাহাড় উদ্ধার নিয়ে শাসকদলকে দুষে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এরই পাশাপাশি এরাজ্যে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহারের অভিযোগেও এদিন সরব হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
ফের দিলীপ ঘোষের নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, চাল ও তেলকলে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। এছাড়াও তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দফতরেও চলে অভিযান। ছাড় যায়নি বাড়িও। জাকির হোসেনের দিল্লি ও কলকাতার দফতরেও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১১ কোটি টাকা। কেন বিপুল পরিমাণ এই টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে বাড়িতে রেখে দিলেন জাকির? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- এক নৌকোয় ঘুরে আসুন গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র, উপহার মোদীর, হলদিয়া পাচ্ছে মাল্টিমোডাল টার্মিনাল
রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কের বাড়িতে নগত ১১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্র বলছে ডিজিট্যাল পেমেন্ট করো। দশ-বিশ লাখ টাকা পেমেন্ট পারপাসে বাড়িতে থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ১১ কোটি টাকা! যেখানে হাত দিচ্ছে, টাকা পাচ্ছে। টাকা উদ্ধার না হলে, তবু হ্যারাসমেণ্ট হয়েছে বলা যেত। এতো যেখানে হাত দিচ্ছে, টাকা বেরিয়েই যাচ্ছে। পার্থবাবুর বাড়িতে গেলে সাড়ে তিনশো কোটি পাবে। কেষ্টবাবুকে নাড়া দিলে সাড়ে পাঁচশো কোটি বেরোবে। সাংসদ, বিধায়কদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা পাবে। তথ্যপ্রমাণ আছে তো। পাবলিক হাসছে।'
এছাড়াও এরাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকার অপব্যবহার হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় এরাজ্যের সরকার চলছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। তিনি বলেন, 'টাকা দিয়েছে। লুঠ করেছে। তার পরেও আড়াই হাজার কোটি টাকা পরে আছে। কোনও প্রকল্প নেই। কোনও খরচা নেই। কেন্দ্রের কর ৫৮ শতাংশ। ৪২ শতাংশ এখানকার কর। আপনি কর বাড়াচ্ছেন। টাকা তুলছেন। সেই হিসেবও দেখাতে পারছেন না। পুরো কেন্দ্রের টাকায় এই সরকার চলছে।'