পঞ্চায়েত ভোটের আগে এযেন রক্তস্নান বাংলায়! জেলায়-জেলায় হিংসাত্মক ঘটনা বেড়েই চলেছে। 'দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ', মুর্শিদাবাদের নওদায় নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুন প্রসঙ্গে এভাবেই রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় বোমা মেরে গুলি করে খুন করা হয় এক তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে। এই খুনের পিছনে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক হিংসার ঘটনায় প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''রোজ বোমা মারছে, খুন হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের আখড়া পশ্চিমবঙ্গে। যত দুষ্কৃতী সব টিএমসির নেতা। অন্য রাজ্য থেকেও দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে। পুলিশ কারও গায়ে হাত দেয় না।''
আরও পড়ুন- আরও বাড়বে ঠান্ডার দাপট, কবে থেকে বঙ্গে থিতু হবে শীত?
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস। নিহতের স্ত্রী নদিয়ার থানারপাড়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান। নওদায় তৃণমূল নেতার পথ আটকে বোমাবাজি ও গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মতিরুল। প্রাণনাশের আশঙ্কা আগেই ছিল, সেই কারণে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়েই নদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদের নওদায় গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। নওদা থেকে করিমপুরে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বাইকে চেপে আসছিলেন ওই তৃণমূল নেতা।
বাইক থেকে পড়ে গেলে চলে গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মণিরুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে অভিযোগ। মতিরুলকে খুনের অভিযোগ উঠেছে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে। ইটভাটার বখরা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।