“যদি টাকা ভোটের জন্য দেয় তাহলে ভোট না পেলে তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবেই। এখন মানুষই ভাবুক ৫০০ টাকার জন্য ভোট দেবেন, নাকি চোরেদের তাড়াবেন”! রবিবার সকালে তারাপীঠে 'চায়ে পে চর্চা' শীর্ষক কর্মসূচিতে বেরিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বীরভূমে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে তারাপীঠ সংলগ্ন কড়কড়িয়া মোড়ে একটি চায়ের দোকানে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে 'চায়ে পে চর্চা'য় বসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পরাজয় জেনে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সত্যিই যদি ভোটের জন্য দেওয়া হয় তাহলে তো বন্ধ হবেই। এখন মানুষ ঠিক করবেন ৫০০ টাকার জন্য ভোট দেবেন কিনা।”
আরও পড়ুন- ‘বাবার অনুপ্রেরণায় অসৎ পথে মেয়ে?’, সায়নীকে ‘তুখোড় বাণে’ বিঁধলেন অনুপম
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সমস্ত রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষ চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাক। আশা করব শেষ পর্যন্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেবে”। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে ভোট সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। রাজ্যপালের এই ভূমিকায় বেশ সন্তুষ্ট দিলীপ ঘোষ। এপ্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “যেটা মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তাঁদের মন্ত্রীদের করার কথা ছিল সেটা রাজ্যপাল করছেন। এটা খুব প্রাসঙ্গিক। এর ফলে মানুষের আস্থা বাড়বে।”
আরও পড়ুন- জল-জঙ্গল-পাহাড়ের অপরূপ মিশেল! ছবির মতো সাজানো এপ্রান্ত কলকাতার কাছেই
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায় ভোট-সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ৩ জন। ভাঙড়ে অশান্তি ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “ওখানে মুসলিমরাই নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে। নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি হচ্ছে। শওকত মোল্লাকে মমতা বন্দোপাধ্যায় জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে পাঠিয়েছে যাতে মারপিটটা করতে পারে। রাস্তায় বোমা পড়ে আছে, বন্দুক পড়ে আছে। গায়ের জোরে ভোট করার চেষ্টা করছে।”