গত ১৪ মার্চ, মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন ছিল বাংলার প্রথম পত্রের পরীক্ষা। আর, সেখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে প্রশ্ন ছিল। যাতে নেতাজিকে নিয়ে প্রবন্ধ রচনার কথা বলা হয়েছিল। প্রবন্ধের জন্য সূত্রও উদ্ধৃত ছিল ওই প্রশ্নপত্রে। সেখানে নেতাজির উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে সূত্রের জায়গায় উল্লেখ ছিল IAS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। অথচ, নেতাজির সময় IAS চালু ছিল না। তখন হত ICS পরীক্ষা। ফলে, নেতাজির IAS পরীক্ষায় পাশের প্রশ্নই নেই। তিনি ICS পাশ করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা খড়গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ভুলের জায়গা চিহ্নিত করে ছবি প্রকাশ করেন। সঙ্গে লেখেন, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ICS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু, উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নে জানা গেল, নেতাজি IAS পাশ করেছিলেন। অযোগ্য লোকজন যারা লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে স্কুল শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছে, তাদের দিয়ে প্রশ্ন তৈরি করালে এই হাল তো হবেই।'
বর্তমানে রাজ্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম। যার জেরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শিক্ষা দফতরের একের পর এক আধিকারিক জেলে রয়েছেন। দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত ছিল সেই দুর্নীতির অভিযোগের দিকেই। তবে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ভুলের কথা স্বীকার করলেও জানিয়েছে, বিষয়টি স্রেফ ছাপার ভুল।
আরও পড়ুন- স্কুলশিক্ষা পুরোপুরি বেসরকারি করার ফন্দি এঁটেছেন মমতা, অভিযোগ শুভেন্দুর
এই ব্যাপারে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে নেতাজিকে নিয়ে একটি প্রশ্ন ভুল ছাপা হয়েছে। প্রশ্নপত্র যখন ছাপার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেই সময় তাতে ICS লেখা ছিল। ছাপার সময় তা ভুল করে IAS হয়ে গেছে। এটা স্রেফ ছাপার ভুল।' এই ব্যাপারে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ভুল যেহেতু ছাপার জন্য হয়েছে, তাই পরীক্ষার্থীরা যদি IAS-ও লেখে, তা-হলেও তা ভুল হিসেবে ধরা হবে না। লেখার মানের বিচারেই নম্বর দেওয়া হবে।