Dilip Ghosh-Election Commission: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। BJP প্রার্থীর এই মন্তব্য যে অনেকেই ভালোভাবে নেননি, তা বুঝেই দ্রুত পদক্ষেপও করেছে BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শোকজ করা হয়েছে রাজ্য BJP-র প্রাক্তন সভাপতিকে। তবে শোকজের পরেও দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আছেন নিজের মেজাজেই। এবার নির্বাচন কমিশনকেই 'মেসোমশাই' বলে কটাক্ষ করলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বর্ধমান-দুর্গাপুরের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃ পরিচয় নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের এই পদক্ষেপেরই সমালোচনা করতে গিয়ে দিলীপের নয়া মন্তব্যে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এবার কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
"একটি চিঠি দিতে ১০ জনকে দৌড়োতে হল? কী এমন হয়েছে যে সকালে উঠে মোসোর বাড়ি দৌড়েছো। তোমরা রাস্তা-ঘাটে দাঁড়িয়ে কার নামে কি না বলছো, আমরা তো মেসোমশাইয়ের কাছে যাই না। রাস্তায় রাজনীতি করতে পারছো না বলেই ইলেকশন কমিশনের কাছে যেতে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro Rail: পান-গুটখার পিকে ঢাকছে স্টেশন, হুঁশ ফেরাতে দুরন্ত অনুরোধ কলকাতা মেট্রোর!
এদিকে, দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দিয়েছে তৃণমূল। সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "দিলীপ ঘোষ কুরুচিকর কথা বলেন এটা সর্বজনবিদিত। BJP-ই দীর্ঘদিন ধরে তাকে লালন-পালন করেছে। তাকে উৎসাহ দিয়েছে। এটাই বিজেপির মূল মন্ত্র। কমিশনে সবচেয়ে বেশি নালিশ করে BJP-ই। নির্বাচন কমিশনকে দিলীপ ঘোষের এত ভয় কিসের?"
তৃণমূলের আর এক মুখপাত্র শান্তনু সেনও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। অবিলম্বে দিলীপ ঘোষের প্রার্থীপদ খারিজেরও দাবি করেছেন শান্তনু সেন। কমিশনকে বিঁধে দিলীপের এহেন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বামেরাও। দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেছেন।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানায় দু'জনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ FIR দায়ের করেছে। যে দুটি ধারায় মামলা হয়েছে তাতে জরিমানা-সহ বা ছাড়া দুই থেকে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।