জেলে বসেই বীরভূমে দলের সংগঠন পরিচালনা কেষ্টর? এবার বিতর্ক উসকে মারাত্মক দাবি দিলীপ ঘোষের। 'সিবআই গোটাটা জানে, তাই দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।' অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এমন মন্তব্যে ফের জোর চর্চায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গরু পাচার মামলায় জেলে থেকেও ফোনে বীরভূমে দলের কাজ কীভাবে চলবে তা নিয়ে নাকি জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনই দাবি করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। গত ৩০ জানুয়ারি বীরভূম সফরে এসে জেলায় দলের ৭ জনের কোর কমিটি গড়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে তিনি কাজলকে রেখেছেন। সেই কাজলই তৃণমূলের অস্বস্তি বহু গুণে বাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘জেলে বসেই বিকাশদার সঙ্গে ফোনে কথা কেষ্টদার’, তোলপাড় ফেলা মন্তব্য কাজল শেখের
রবিবারই বোমা ফাটিয়েছলেন কাজল। তিনি বলেছিলেন, 'বিকাশদার সঙ্গে হয়ত ফোনে কথা হচ্ছে কেষ্টদার। তাই উনি বলছেন কেষ্টদার কথা মতো দল চলছে। তাঁর ফোন ঘাঁটলেই সবটা বোঝা যাবে।’ এই কাজল শেখ হলেন বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা। বিকাশ রায়চৌধুরী হলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপধিপতি। তাঁর সঙ্গে কেষ্টর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। যদিও জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হওয়ার যে অভিযোগ কাজল তুলেছেন তা তিনি অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- মেলায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ, মর্মান্তিক কাণ্ডে রক্তে ভিজল গ্রামের মাটি
তবে অনুব্রত মণ্ডল যে জেল বসে দলের কাজ দেখছেন সেব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত দিলীপ ঘোষও। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই সব অভিযোগ তো আগেই উঠেছে। জেল থেকে উনি কন্ট্রোল করছেন। বীরভূম জেলা হাতের বাইরে যাচ্ছে বলে ওঁকে কায়দা করে বীরভূমের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব আমরাও জানি। সিবিআই গোটাটা জানে। তাই তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সিবিআই বা আদালতের এটা দেখা উচিত যাতে এর থেকে তাকে বিরত করা যায়।'