২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ঘর গুছোতে শুরু করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বুথস্তরে সংগঠন বিস্তারে মরিয়া বিজেপি। এই পরিস্থিতি কী আদৌ বদলাবে? ২৪-এর লোকসভার আগে পঞ্চায়েত ভোটে সাড়া জাগানো ফলাফল হবে গেরুয়া শিবিরের? বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে অবশ্য আশঙ্কার কালো মেঘ।
বছর সাড়ে তিন আগে লোকসভা ভোটের ফলাফলে বাংলায় সাড়া ফেলেছিল বিজেপি। সেই সূত্রেই একুশে বঙ্গ বিজয়ের স্বপ্ন দেখেছিল পদ্ম বাহিনী। দাবি করা হয় ২০০-র বেশি আসন জয়ের। কিন্তু, বাস্তবে ৭৭ থেমেছিল বিধায়ক সংখ্যা। ফুল বদলের মাধ্যমে সেই সংখ্যা এখন কমে ৭০। একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই এ রাজ্যে বিজেপি সংগঠন নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন। দিলীপ ঘোষের বদলে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি করলেও ভোটের ফলে পরিবর্তন হয়নি। বিভিন্ন বিধানসভা ও লোকসভা উপির্বাচন, কলকাতা সহ রাজ্যব্যাপী পুরভোটে গোহারা হেরেছে বিজেপি। ঢাল করেছে শাসকের সন্ত্রাসকে।
আরও পড়ুন- শূন্যপদের দ্বিগুণের বেশি নিয়োগ, সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি ‘দুর্নীতি’তে কাঠগড়ায় আরও এক মন্ত্রী
এবার বিজেপির নজরে পঞ্চায়েত ভোট। কঠিন কাজ জানলেও লোকসভার আগে পঞ্চায়েতের সেমিফাইনাল জিতে চমক দিতে চাইছে সুকান্ত মজুমদাররা। কিন্তু তাঁর পূবসূরির মুখে অন্য সুর। দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেছেন, 'ভোট লুঠের গণতন্ত্র চলছে রাজ্যে। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে।' এক্ষেত্রে সহসভাপতি সদ্য রাজ্যের দুই উপনির্বাচনের ফলাফলকে তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, 'দুটো উপনির্বাচন ছিল। দেখলেন তো সেখানে কি ফল হল। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও সেটাই হবে। তৃণমূল এবারও একই পথে হাঁটবে।'
কলকাতার ভোটার থেকে দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বেফাঁস মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া দলের। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি যা নিয়ে দিলীপের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রে খবর। কিন্তু, দিলীপ ঘোষ বদলালেন না। সাফ জানালেন আগামী পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী। আদতে দলের সাংগঠনিক ব্যর্থতাকেই কী তুলে ধরতে চাইলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?