নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ম্যারাথন ১১ ঘণ্টার জেরার গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। আসরে নেমেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। কিন্তু কাকুর পরে কে তা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।
পার্থর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কাকু? সে বিষয়ে দিলীপ বলেছেন, "পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। কিন্তু এখন যাঁরা ধরা পড়ছে, তাঁরা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না। লেনদেন হলে সেটা আলাদা ব্যাপার। বাকি যাঁরা ধরা পরেছে, তাঁরাই আসল কিং পিন। এঁরা হ্যান্ডলার। এঁরাই লোক টেনে আনত। এঁরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।"
কাকু যে কোম্পানিতে কাজ করতেন, সেই কোম্পানির জন্যই জড়িয়ে গেলেন? সে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেছেন, "সেই কোম্পানির নাম অনেক আগেই এসেছে। নামেই কোম্পানি। টাকার লেনদেন হত। সেখানে যারা কর্মী, তারাই হ্যান্ডলার। সেই প্রমাণ গুলো একে একে সামনে আসছে। অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।"