Dilip ghosh On Waqf Protest: ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে একের পর জেলা। অশান্তিতে প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। প্রাণ বাঁচাতে গৃহহীন শ'য়ে শ'য়ে পরিবার। এর মাঝে গোটা ঘটনায় মমতা সরকারকে নিশানা প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের।
নববর্ষের সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, "সীমান্তের জেলাগুলি প্রায় হিন্দু শূন্য হয়ে আসছে। বার বার এধরণের ঘটনা ঘটছে, হিংসা-ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। হিন্দুরা ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন এত অমানবিক তাদের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। মেয়র বলছেন, রাজ্যের মধ্যেই তো রয়েছেন। আমি বলছি, মেয়র কলকাতা ছেড়ে বীরভূমে গিয়ে থাকুক তাহলে কষ্টটা বুঝতে পারবেন"।
কেন মানুষ ঘর ছাড়া হবেন প্রশ্ন তুলে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, "কোন নিরাপত্তা নেই, এটা কি ইজরায়েল, সিরিয়া হয়ে গেল? কেন হিন্দুদের বাড়িতে লুঠ করা হবে, কেন মন্দির ভাঙ্গা হবে?" পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার চক্রান্তের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমরা কয়েকবছর ধরে বলে আসছি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার চক্রান্ত চলছে, তা না হলে কেন সীমান্তবর্তী একের পর এক জেলা হিন্দুশূন্য করার চেষ্টা হচ্ছে"?
একচেটিয়া কয়েকটি জেলায় জিতে মমতা ক্ষমতায় আসতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলে প্রাক্তন সাংসদ বলেন, "কেন হিংসার কোন আগাম খবর প্রশাসনের কাছে ছিল না? জানার পর পুলিশ কেন চুপ করে থাকল? ১ লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, পয়লা বৈশাখের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের কী সম্পর্ক? উৎসব উৎসব করে বাংলাটাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে হিন্দুদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
গতকালের ISF বিক্ষোভের তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, 'অন্য রাজ্যে কেন আন্দোলন নেই? তাহলে কী মমতা ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন? মমতার সম্প্রীতি খেসারত দিতে দিতে হিন্দুশূন্য হয়ে যাচ্ছে রাজ্য। সব দায় মমতা ও তার সরকারের। বিধায়করা দাঁড়িয়ে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন। আমি আশা করব সব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। উত্তেজনা, সংকটের ভিতর নতুন বছর শুরু হলেও বছরের শেষে ঠিকই ভালো দিন আসবে"।
মুর্শিদাবাদ-ভাঙড় সহ বাংলার দিকে দিকে ওয়াকফ বিক্ষোভ। এর মাঝেই আজ নববর্ষে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বিশেষ বার্তা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নববর্ষের সকালে তমলুকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির থেকে বর্গভীমা মন্দির পর্যন্ত আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রার। নববর্ষের সকালে রাজ্যবাসীর প্রতি শুভেন্দুর আবেদন, 'সবাই নিজের হাল ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের হাল ফেরানোর জন্য প্রার্থনা করুন'। পাশাপাশি তিনি বলেন সবাই যখন হাল খাতা নিয়ে মন্দিরে যাচ্ছেন তখন আমি হাল ফেরানোর খাতাতে সিঁদুর লাগিয়ে নিয়ে এলাম'।